শুটিংয়ে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়; সেখান থেকে বাসায় নেওয়ার পর জীবনের ইতি ঘটল তার।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার রাত ১টা ১০ মিনিটে কলকাতায় নিজের বাসায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা ও নিউজ এইটটিন। অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মঙ্গলবার থেকে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিষেক। বুধবার একটি রিয়েলিটি শো’র শুটিংয়ের মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন; দুপুরের দিকে বাসায় ফেরার পর রাতেই মৃত্যুর খবর আসে।
অভিনেতা ভরত কৌল আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেন, “বুধবার তিনি স্টার জলসার ‘ইসমার্ট জোড়ি’ রিয়েলিটি শোতে শ্যুট করতে আসেন। সেখানেই আচমকা প্রেশার নেমে আসে আশিতে। সঙ্গে সঙ্গে কালো কফি দেওয়া হয় তাকে। দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে বাড়িও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই শেষ দেখা আমাদের।”
অভিষেকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৮৬ সালে পরিচালক তরুণ মজুমদারের ‘পথভোলা’ সিনেমায় মধ্য দিয়ে টলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন অভিষেক। প্রথম সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালদের। পরে বেশ কয়েকটি সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন এ তিন অভিনেতা।
নব্বইয়ের দশকে টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন ছিলেন অভিষেক; সাড়ে তিন দশকের ক্যারিয়ারে সাড়ে তিনশর বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন।
১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত খান আতাউর রহমানের আলোচিত সিনেমা ‘সুজন সখী’ টলিউডে রিমেক করেছিলেন স্বপন সাহা। রিমেকে সুজনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
‘সুজন সখী’ ছাড়াও ‘সুরের আকাশে’, ‘লাঠি’, ‘সবার উপরে মা’, ‘তুফান’, ‘ইন্দ্রজিৎ’, ‘সখী তুমি কার’, ‘দান প্রতিদান’, ‘ভাই আমার ভাই’, ‘মায়ার বাঁধন’-এর মত বহু সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে কলকাতার গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশেও পরিচিতি পেয়েছেন অভিষেক।
চলচ্চিত্রের বাইরে বিভিন্ন টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। গত কিছুদিনে ‘মোহর’, ‘খড়কুটো’সহ বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন এ অভিনেতা ।
স্ত্রী ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।