তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় গত রোববার। এরপর প্রথম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে আজ। এর মধ্যে বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজধানী কাবুলসহ বেশ কয়েকটি শহরে ক্ষমতাচ্যুত প্রশাসনের পতাকা হাতে তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
তাই এই জুমার নামাজে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিতে ইমামদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের স্বাধীনতার ১০২তম বার্ষিকীতে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর আসাদাবাদে বিক্ষোভে তালেবান যোদ্ধাদের গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে গুলি নাকি তালেবানের তাড়ায় হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
একই দিন কাবুলের কাছে এক সমাবেশের কাছেও গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী। তবে এখানে তালেবান যোদ্ধারা আকাশে গুলি ছুড়েছিলেন বলে জানা গেছে।
কাবুল দখলের পর বুধবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তালেবান ঐক্য ও শান্তির ডাক দিয়েছিল। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আফগানিস্তান যাতে একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র বা সংঘাতের দেশ না হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছে, তাদের সবাইকে আমরা ক্ষমা করেছি। আমরা শত্রুতার অবসান চাই। আমরা ঘরে ও বাইরে কোথাও কোনো শত্রু চাই না। কাবুলে আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না।’
ইসলামী আইন অনুযায়ী নারীদের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর আশ্বাস দেন তিনি। একই সঙ্গে ২০ বছর আগের তালেবানের সঙ্গে বর্তমান তালেবানের বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে বলেও জানান তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
শুক্রবার জুমার নামাজের আগেও তেমনি আফগান ঐক্যের তাগিদ দিয়েছে তালেবান। লোকজন যেন আফগানিস্তান ছেড়ে না যায়, তা বোঝাতে ইমামদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।