করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবার জুন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। রোববার (৩১ মে) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও জ্বালানি নসরুল হামিদ বিপু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এই সময় ঝুঁকি নিয়ে তাড়াতাড়ি করে বিল দিতে হবে না। আমরা জুন মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিদ্যুৎ বিল নিয়ে নানা ভোগান্তির কথা আমাদের কানেও আসছে। কারও কোনও বাড়তি বিল করা হলে তা পরবর্তীতে সমন্বয় করা হবে।
বিদ্যুতের আবাসিক গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে গ্রাহকদের পক্ষে বিল পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। এজন্য গত মার্চে জারি করা এক আদেশে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিল কোনো রকম বিলম্ব মাশুল ছাড়া মে মাসে জমা নেওয়ার জন্য বিইআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হয়েছিল। গত ২২ মার্চ ওই আদেশ দেওয়া হয়েছিল। যাতে মে মাস পর্যন্ত বিলম্ব মাশুল মওকুফের কথা বলা হয়।
এ নিয়ে একটি চিঠি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কাছে পাঠানো হয়।
জ্বালানি বিভাগের উপসচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আবাসিক গ্যাস বিল নির্ধারিত সময় জমা দিতে বিপুল পরিমাণ গ্রাহক ব্যাংকে একসঙ্গে গিয়ে জমা হয়। এভাবে অনেক মানুষ একসঙ্গে ব্যাংকে গিয়ে বিল দিতে গেলে করোনাভাইরাস বা ‘কোভিড–১৯’ সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার ‘গ্যাস বিপনন নিয়মাবলি (গৃহস্থালি) ২০১৪’ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবাসিক গ্রাহকেরা কোনো রকম বিলম্ব মাশুল বা সার চার্জ ছাড়াই ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের গ্যাস বিল আগামী জুন মাসের সুবিধাজনক সময় জমা দিতে পারবেন।