৩৫তম ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে কাঁপন ধরিয়েছিলেন ডোনাল্ড তিরিপানো। ওভারের প্রথম ও দ্বিতীয় বলে তামিম ও মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিক চান্স পান।
যদিও মিরাজের ইঞ্জুরিতে একাদশে ঠাঁই পাওয়া নুরুল হাসান সোহান তা হতে দেনটি। শেষ কাজটি ভালোভাবেই সেরে এসেছেন তিনি।
তামিমের সেঞ্চুরির পর সোহানের ৪৫ রান ভর করে জিম্বাবুয়ের ছোড়া ২৯৯ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে বাংলদেশ।
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে টাইগাররা। একমাত্র টেস্ট জয়ের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ।
শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৮ রানের। অলরাউন্ডার আফিফকে সঙ্গী করে তা অনায়াসেই পূরণ করেন সোহান।
সোহান বলে অপরাজিত থাকেন রানে ৪৫ রান। আর আফিফ ১৭ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।
মংগলবার নিজের ক্যারিয়ারের ২০০তম ওয়ানডে খেলেছেন পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বল হাতে দুর্দান্ত খেললেও ব্যাট হাতে মাইলফলকের ম্যাচ রাঙাতে পারেননি। তিরিপানোর বলে গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেছেন।
তিরিপানোর অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি কাট করে হালকা ঢোকে ভেতরে। মাহমুদউল্লাহ ক্রস ব্যাটে শট খেলার চেষ্টা করেন। বল তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে যায় কিপার চাকাভার গ্লাভসে জমা হয়।
আর আগের বলটি অনেকটা আলসেমির মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে আলতো করে ব্যাট পেতে দেন তামিম। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় কিপারের কাছে।
৯৭ বলে ১১২ রান করে সাজঘরে ফিরেন তামিম।
এর আগে সাকিবের সঙ্গে ৬৯ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। ৪২ বলে ৩০ রান করে আউট হয়েছেন সাকিব।
২৬ তম ওভারে লুক জঙ্গুয়ের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের লেংথের স্লোয়ার জায়গায় দাঁড়িয়েই খেলেন সাকিব। ব্যাটে-বলে হয়নি। বল চলে যায় কিপারের গ্লাভসে। সাকিব ওয়াইড চাইলেও আম্পায়ার তুলে দেন আঙুল।
সাকিবের হতাশময় আউটের পর তামিমের সঙ্গী হন মোহাম্মদ মিঠুন। তামিম ও মিঠুনের জুটিতেও পঞ্চাশ রান আসে।
মাত্র ৪৫ বলে এসেছে জুটির ফিফটি। তাতে কৃতিত্ব মূলত তামিমের। তিনি করেছেন ৩০, মিঠুন ১১।
৫৭ বলে ৩০ রান করে আউট হন মোহাম্মদ মিঠুন।