জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা তিনটি সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ দল। এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজে কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিসিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ দল।
শুধু জয় বললে ভুল হবে। টানা তিনটি সিরিজেই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে টাইগাররা।
বুধবার দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ১১৯ রানে বেধে ফেলেবাংলাদেশ দল। মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ২৫ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে ট্রফি নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।এর আগে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রানের পাহাড় গড়ে ৪৮রানে জয় পেয়েছিল টাইগাররা।
এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। তার আগে একমাত্র টেস্টে ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে জয় পায় মুমিনুলরা।
বুধবার দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে জয়েদুর্দান্ত ব্যাটিং করেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। তিনি ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে নাইম শেখের সঙ্গে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েদলকেজয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
ইনিংসের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের জয়নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ার আগে ৪৫ বলে ৮টি চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৬০ রানের লড়াকুইনিংস খেলেন লিটন। ৩৪ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩৩ রান করে আউট হন নাইম শেখ। ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় সফরকারী জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১২ রানে ওপেনার টিনাশে কামুনহুকামুয়ের উইকেট তুলে নেন আল-আমিন হোসেন।
এরপর ক্রেগ আরভিনকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন ওপেনার ব্রেন্ডন টেলর। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এ জুটি ভাঙেন আফিফ হোসেন। ৩৩ বলে ৩টি চারে ২৯ রান করা আরভিনকে আউট করেন আফিফ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নিজের চতুর্থ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শেন উইলিয়ামসকে আউট করে প্রথম সাফল্য পান জাতীয় দলের তরুণ লেগ স্পিনার মেহেদী হাসান। তার শিকারে পরিনত হওয়ার আগে মাত্র ৩ রান করার সুযোগ পান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।
আগের ম্যাচে ১০ রান করা সিকান্দার রাজাকে এদিন ১২ রানের বেশি করতে দেননি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার বলে ফাইন লেগে আল-আমিনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সিকান্দার। রিচমন্ড মুতুম্বামিকে মাত্র ১ রানে আউট করেন আল-আমিন হোসেন।
দলীয় ১০৮ রানে টিনোটেন্ডা মুতোম্বোজিকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তবে ব্যাটিং বিপর্যয়ের ম্যাচে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়কও দলটির ওপেনার ব্রেন্ডন টেলর। ৪৮ বলে ৬টি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার ফিফটির সৌজন্যে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৯ রান করতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১১৯/৭ (টেলর ৫৯*, আরভিন ২৯, সিকান্দার রাজা ১২, কামুনহুকামুয়ে ১০; আল-আমিন ২/২২, মোস্তাফিজ ২/২৫)।
বাংলাদেশ: ১৫.৫ ওভারে ১২০/১ (লিটন ৬০*, নাইম শেখ ৩৩, সৌম্য সরকার ২০*)।
ফল: বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী।