জামালপুরের ইসলামপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা বিচার চেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে স্কুল-কলেজ। এ জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুকুজ্জামান বিপ্লব গত বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়ে আসেন। একইদিন বিদ্যালয়ে আসেন ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষিকাও। এ সময় তাকে একা পেয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই শিক্ষিকা বুধবার বিকালে আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক তদন্ত করে আমরা সত্যতা পাই। পরে বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাই এবং ওই শিক্ষিকাকে তার কাছে পাঠাই।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুকুজ্জামান ওই সহকারী শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। ঘটনাটি ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ক্লাস্টার এটিওকেও জানিয়েও কোনো কিছু হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি বলেন- ওই শিক্ষিকা যেমন অভিযোগ করেছে আসলে তেমনটা না।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছি। তিন সদস্য তদন্ত কমিটি করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা প্রমাণিত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।