ধর্মীয় দিক দিয়ে ভারতীয়রা এখন অনেকটাই মেরুকরণের দিকে ঝুঁকছে বলে মনে করেন বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের জাতির আগে কোনো ধর্মীয় পরিচয় ছিল না। কিন্তু এখন কেন জানি হচ্ছে।
আনফিল্টারড বাই সামদিশে সাক্ষাৎকারের সময় বিদ্যা বালানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ভারত ধর্মের দিক থেকে আরও মেরুকরণ হয়েছে কিনা। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের অবশ্যই মেরুকরণ হয়েছে। জাতি হিসেবে আমাদের আগে ধর্মীয় পরিচয় ছিল না, কিন্তু এখন কেন হচ্ছে আমি জানি না। বিষয়টা শুধু রাজনীতিতেই নয়, সামাজিক মাধ্যমেও ক্ষেত্রেও হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, কারণ আমরা সবাই এই পৃথিবীতে হারিয়ে গিয়েছি এবং একটা পরিচয় খুঁজছি যা আমরা কখনোই ছিলাম না। আমরা নিজেদেরকে কোথায় একটা সংযুক্ত করার চেষ্টা করছি।’
সোশ্যাল মিডিয়া এই মেরুকরণকে আরও প্রভাবিত করেছে উল্লেখ করে বিদ্যা বলনে, ‘আমরা আগের চেয়ে নিঃসঙ্গ। খুবই অতিমাত্রায় আমরা নিজেদেরকে সুবিধাজনক আইডিয়া এবং কনসেপ্টের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছি। শুধু একটি দেশে নয়, বিশ্বে আজ মেরুকরণ চলছে।’
বিদ্যা বালান কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য অর্থদান করেন না কেন প্রশ্নে বলেন, ‘কেউ যদি আমার কাছে কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য অনুদান চাইতে আসে, আমি কখনো দিই না। আমি বলি, আপনারা যদি হাসপাতাল, স্কুল কিংবা শৌচালয় বানাতে চান, তাহলে আমি খুশি হয়ে টাকা দেব। তবে কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্থিক সাহায্য করব না।’
বিদ্যা বালানের রাজনৈতিক দর্শন কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাজনীতি ‘ভয় পাই’। রাজনীতি করলে আমাকে নিষিদ্ধ করে দেয় যদি? আমার সঙ্গে এরকমটা ঘটেনি ঠিকই, তবে তারকারা এখন রাজনীতি নিয়ে একটু বুঝে শুনেই কথা বলেন। কারণ কারা, কখন মনোক্ষুণ্ণ হয়! বিশেষ করে কোনো সিনেমা রিলিজের সময়ে, কারণ ওই সিনেমাটির নেপথ্যে আরও ২০০ জনের কসরত থাকে। তাই আমি বলি, আমাকে রাজনীতি থেকে দূরেই রাখুন। মুখ বন্ধ করে কাজ চালিয়ে যাওয়াই ভালো।’
সম্প্রতি বিদ্যা অভিনীত ‘দো অর দো পেয়ার’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। এ সিনেমায় বিদ্যার পাশাপাশি প্রতীক গান্ধী, ইলিয়ানা ড ‘ক্রুজ এবং সেনধিল রামামূর্তিও রয়েছে।