যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে। ১৫ সদস্যের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৪টি। ভোট দেওয়া থেকে শুধু বিরত ছিল রাশিয়া।
সোমবার প্রস্তাবটির ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়। এর আগে গত ৩১ মে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের এ প্রস্তাব দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এমন সময় গাজায় যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব পাস হলো, যখন ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় সেখানে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ উপত্যকার অর্ধেক ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ইসরাইল ও হামাসকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবকে নতুন সুযোগ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিনের পক্ষ নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের যে শাস্তি দিল হার্ভার্ড
এদিকে, নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি কীভাবে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কাজ করার সদিচ্ছার কথা জানিয়েছে।
তবে নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরাইলের দেওয়া প্রস্তাবই ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এর আগে গত ২৫ মার্চ গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়। ওই প্রস্তাবের পক্ষে ১৪ সদস্য ভোট দিয়েছিল। তখন ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওই প্রস্তাব মানেনি ইসরাইল।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালালে এই যুদ্ধ শুরু হয়। হামাস প্রায় ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।