জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে গত মাসে আরও বেশি কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে দেশটিকে শাস্তি দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, চীন এবং রাশিয়া তাদের সেই প্রচেষ্টায় ভেটো দেয়। বুধবার দেশ দুটিকে এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্যরা চলতি বছরের প্রথম দিকে একটি প্রস্তাব পাশ করে, যেখানে ভেটো প্রয়োগ করা হলে প্রতিনিধিদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহারের সমর্থনে কারণ দেখাতে হবে। এবারই প্রথম নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের যে কোন একটিকে তা করতে বলা হলো।
এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এর এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়ে বলা হয়ঃ জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেছেন, উত্তেজনা কোনভাবেই বৃদ্ধি পাওয়া উচিত নয়। আর, সমস্যা সমাধানে সংলাপ ও পরামর্শই হল একমাত্র কার্যকর উপায়।
ঝাং জানান, উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বদলে বরং তা লাঘব করা উচিত, যে আবেদনের পুনরাবৃত্তি করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে সামরিক জোট শক্তিশালী করে তোলার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের দোষারোপ করেন।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ রাজনৈতিক বিষয়ক ঊর্ধ্বতন পরামর্শদাতা জেফ্রি ডি লরেন্টিস ওই দৃষ্টিভঙ্গি নাকচ করে দিয়েছেন। ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের এই ব্যাখ্যা অপর্যাপ্ত, বিশ্বাসযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি জানান। সম্মিলিত নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার সেবায় এগুলো কাজে লাগানো হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ডি লরেন্টিস বলেন, প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা উত্তেজনা বৃদ্ধির জবাবে নেয়া হয়েছে, সমস্যার কারণ তা নয়।
ওদিকে, জাপানের প্রতিনিধি ওদাওয়ারা কিয়োশি বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের কাছ থেকে উত্তর কোরীয়দের তীব্র কোন প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়নি। পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করে নিজেদের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি তারা বৃদ্ধি করে নিচ্ছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।