জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৭ মিনিটের ভাষণে চীনের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেননি নরেন্দ্র মোদি। পুরো ভাষণে দেশের করোনা পরিস্থিতি স্থান পায়।
মঙ্গলবার বিকাল চারটায় তার এ ভাষণ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার কর হয়।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ১৫ জুন লাদাখে দুই প্রতিবেশী দেশের সংঘর্ষের ঘটনার ভারতীয় ২০ সেনা নিহতের পরে এটি তার জাতির উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণ।
ভাষণে এদিন মোদি দেশের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভারতের করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় ভালো।সময় মতো লকডাউন করায় অনেক বেশি মাত্রায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকানো গেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
ভারত সরকার প্রধান জানিয়েছেন, নভেম্বর পর্যন্ত দেশের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ বিনামূল্য খাদ্যশস্য পাবেন। এই প্রকল্পের জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে রোববার মন কি বাত রেডিও অনুষ্ঠানে মোদি বলেছিলেন, লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে যাদের নজর পড়েছে, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে।
মোদি বলেন, ভারত যেমন বন্ধুত্ব করতে জানে, তেমন শত্রুদের জবাব দিতেও জানে। আমাদের সাহসী জওয়ানরা নিশ্চিত করেছে, মাতৃভূমিকে আক্রমণে কাউকে ছাড় দেবে না।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করা নতুন উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, প্যাংগংয়ে বিরোধীয় এলাকায় বিশালাকার চীনা লিপি ও মানচিত্র এঁকেছে বেইজিং।ফিঙ্গার ৪ ও ফিঙ্গার ৫ এর মাঝে বিশালাকার চীনা লিপি ও মানচিত্র এঁকে দেওয়া হয়েছে। অন্তত ৮১ মিটার লম্বা ও ২৫ মিটার দীর্ঘ এলাকায় এসব অংকন করা হয়েছে।
উপগ্রহ চিত্র থেকে এনডিটিভি যে ছবিগুলো পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এই অঞ্চলে চীনের সেনাবাহিনী অনেক বেশি সংখ্যায় মোতায়েন রয়েছে। তারাই ভারতীয় সেনাদের টহল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
যে এলাকাটি চীন ইতিমধ্যেই দখল করার চেষ্টা করছে, উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে সেখানে কমপক্ষে ১৮৬ টি সেনা ছাউনি, আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন আকারের তাবু স্থাপন করা হয়েছে।
যদিও মঙ্গলবার প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সামরিক পর্যায়ে ফের বৈঠকে কথা রয়েছে। তবে, বৈঠক নিয়ে সংশয়ে আছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, চীনের এসব কর্মকাণ্ডে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে নয়া দিল্লিতে।