জনসমর্থন না থাকলে কেউ ক্ষমতায় গিয়ে টিকে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিডিআরের ঘটনা ঘটানো হলো, হেফাজতের ঘটনা ঘটানো, নানা ধরনের ঘটনা, বহু রকমের কারসাজি ঘটানোর চেষ্টা, কিন্তু জনসমর্থন না থাকলে, ষড়যন্ত্র করে খুন করে ফেলা যায়, হত্যা করে ফেলা যায়, কিন্তু জনসমর্থন না থাকলে কেউ ক্ষমতায় গিয়ে টিকে থাকতে পারে না, দেশের কল্যাণও করতে পারে না, এ হচ্ছে বাস্তবতা।’
জেলা হত্যা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
জনসমর্থন না থাকলে কেউ ক্ষমতায় গিয়ে টিকে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনো বিশেষ শ্রেণি সুবিধা পায় না; বরং সুবিধাটা একেবারে গ্রাম পর্যায়ের মানুষের ঘরের দৌরগোড়ায় পৌঁছে যায়। সেই কারণে তারা আমাদের সমর্থন দেয়, সেই কারণে আমরা তাদের সমর্থন পাই।’
আওয়ামী লীগকে জনগণের সত্যিকারের দল আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কিছু বাম দল আছে, তারা সাধারণ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করে, কমিউনিস্ট পার্টি আছে সাধারণ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে গণতান্ত্রিক দল হিসেবে তো আওয়ামী লীগ, যে আওয়ামী লীগ তৃণমূল থেকে গড়ে উঠেছে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, যেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনে জনগণের কাছে যেতেই পারে না, জনগণের কাছে ভোট চাইতে পারে না, যাদের সংগঠনই সেই তৃণমূল থেকে গড়ে উঠেনি, মানুষ তাদের পাশে দাঁড়াবে কেন?” বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ টিকেই আছে শুধু জনগণের জন্য কাজ করার মধ্যে দিয়ে। কারও দয়া ভিক্ষে করে না, কারও করুণা ভিক্ষা করে না। আমাদেরকে ষড়যন্ত্র করে যত বেশি নাড়াচাড়া করবে আমাদের আওয়ামী লীগের শিকড়টা তত বেশি মাটিতে শক্ত হবে, পোক্ত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে আওয়ামী লীগ একের পর এক ভোটে জিতে ক্ষমতায় থাকছে। একটার পর একটা নির্বাচনে জয়ী হয়ে আমরা সরকার গঠন করেছি। আমরা জনগণের সমর্থনটা পাই কেন? আমরা জনগণের জন্য কাজ করি বলেই জনগণ আমাদের সমর্থন করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের স্বার্থে কাজ করে, জনগণের কল্যাণে কাজ করে, জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করে। এর শুভফলটা জনগণই পায়, জনগণ সেটা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করে।