জনগণের জীবিকা বন্ধ না করে রংপুরের শ্যামপুর চিনিকলসহ দেশের সব চিনিকল খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
রংপুরের শ্যামপুর সুগার মিল গেটে মাড়াই স্থগিতকৃত মিল চালুকরণ ও চলমান পরিস্থিতিতে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে রোববার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন-যেভাবেই হোক, ভর্তুকি দিয়ে হলেও চিলিকলগুলো খুলে দিতে হবে। হাজারো শ্রমিকের কর্মসংস্থান বন্ধ করা রাজনীতিবিদদের জন্য চরম ব্যর্থতা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশে দেশে উৎপাদিত খাঁটি ও অর্গানিক চিনির চাহিদা আকাশচুম্বী। তিনি প্রশ্ন রাখেন, বর্তমান চিনিকলের মেশিনগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেলে সরকার সেগুলোর আধুনিকীকরণ করছে না কেন। এসব শিল্প-কারখানা বন্ধ করা হচ্ছে কার স্বার্থে।
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, সম্প্রতি বরিশালে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে কিন্তু আমরা জানতে পারছি না। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে। দলের কেউ যদি অপকর্ম করে থাকে তার দায় সরকার নিতে পারে না। তেমনি দলের কেউ দায় এড়াতে পারে না।
শ্যামপুর চিনিকল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি আকতারুল বাদশার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর মহানগর সভাপতি ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, শ্যামপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আহসান হাবিব প্রমুখ। এসময় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজলী বেগম, জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমিন লিটন, গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে জিএম কাদের দুপুরে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর ও প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ কাউন্সিলর ও প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনি রংপুর সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সরকারের উন্নয়ন বাজেট সিটি করপোরেশনে স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যয় করার পরামর্শও দেন জিএম কাদের।