প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ছয়টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে যাদের এই রোগ সংক্রমণের ন্যূনতম লক্ষণ দেখা দেবে তাদের কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হবে বলে বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানিয়েছেন।
এই ভাইরাস সংক্রমণ বন্ধে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ও ইরানের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড ফেরতদের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুই ইতালিফেরতসহ দুজনের নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর আজ রবিবার এই সিদ্ধান্ত এলো।
সাজ্জাদ জানান, এ ছয়টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। সেইসঙ্গে অবতরণের পর ‘হেলথ ডিক্লারেশন’ ফরম দেওয়া হচ্ছে। এখানে তাদের শারীরিক বিষয়সহ বিভিন্ন তথ্য পূরণ করতে হবে। স্বাস্থ্য তথ্য কার্ড দেওয়া হচ্ছে। ছয়টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের শরীরে জ্বর না থাকলেও তাদের বাধ্যতামূলকভাবে নিজ বাড়িতে বা তারা যেখানে থাকবেন, এখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
তবে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় যদি যাত্রীর শরীরে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি থাকে, তাহলে তাকে সরাসরি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।