ছোট গরুর কদর বেশি, দেড় লাখে মিলছে ৫-৬ মণের গরু

রাজধানীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বেড়েছে বেচাকেনা। তবে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর কদর বেশি। লাখ টাকার নিচের গরুর দাম একটু বেশি, তবে দেড় লাখ টাকায় মিলছে পাঁচ থেকে ৬ মণ ওজনের গরু। মাঝারি গরুর চাহিদাও রয়েছে। তিন লাখ টাকা দামের উপরের গরুর ক্রেতা কম।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগ লেদার টেকনোলজি পশুর হাটে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল ১০টা থেকে অনবরত বৃষ্টির কারণে ক্রেতার চাপ কম ছিল। সেই বৃষ্টি দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে। বৃষ্টি কমার সাথে সাথে হাটটিতে ক্রেতাদের চাপ বাড়তে থাকে। বাবা কিংবা চাচা অথবা দাদার সঙ্গে ছোট ছোট বাচ্চারাও এসেছে। সন্তানের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের কোরবানির পশু কিনতে দেখা যায়।

হাজারীবাগ লেদার টেকনোলজি পশুর হাটের তিন মুখে তিনটি ইজারা সংগ্রহের বুথ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে হাজারে ৫০ টাকা করে ইজারা কাটতে দেখা যায়।

হাটে ধানমন্ডি থেকে গরু কিনতে এসেছেন মেহরাব হোসেন। সঙ্গে দুই ভাই ও ছেলেকে নিয়ে এসেছেন তিনি। দুপুর ২টার দিকে হাটে আসলেও বিকেল সাড়ে চারটার দিকে একটি গরু পছন্দমতো পেয়েছেন। আনুমানিক ৬ মণ ওজনের গরু ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন। তিনি বলেন, বড় গরুর দাম ঠিক আছে। দাম কম বেশি বিষয় না। পছন্দের গরু পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।

এ সময় কুষ্টিয়ার এক গরু বিক্রেতাকে গরুকে কী কী খাওয়াতে হবে, কী পরিমাণ খাওয়াতে হবে— সে বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়। গরম ভাতকে ঠান্ডা করে ভুসি দিয়ে খাওয়াতে বলেন। গরু বিক্রির পরও যেন তিনি সেবাযত্নের উপায়গুলো বলতে ভুলে যাননি।

একেবারে লাল কিংবা কালো গরুর দিকে ক্রেতাদের বেশি নজর বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা জানান, ঈদের দিন সবার চেষ্টা থাকে দেখতে একটি সুন্দর পশু কোরবানি দেওয়ার। তারা হাটে এসে গরুগুলো দেখেন। পছন্দ হলে দরদাম করছেন। দরদামে বনিবনা হয়ে গেলে কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পশু।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিন মণ ওজনের গরুর দাম প্রায় লাখ টাকা। চার মণ ওজনের গরুর দাম প্রায় পৌনে এক লাখ, ৫ মণ হলেই প্রকারভেদে ১ লাখ ৩০ থেকে দেড় লাখ টাকা বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে ছোট গরুর মণ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পড়বে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। আবার ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা মণ ধরে বিক্রি হতে দেখা যায়। অনেকেই চোখের দেখা আর আন্দাজের ওপর পশুর দাম নির্ধারণ করছেন।

হাটের বিক্রেতারা বলেন, হাটে মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তবে বড় গরু দরদাম হলেও বিক্রি হচ্ছে কম। এবার বড় গরুর ক্রেতা নেই বললেই চলে।