প্রায় ৬০ হাজার মানুষের ওপর করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগ করেছে চীন। তাদের কারো মধ্যেই কোনো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। মঙ্গলবার দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তিয়ান বাওগো এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা দাবি করেছেন। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
বাওগো সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, যাদের টিকা দেয়া হয়েছে, তাদের সবাই নিরাপদ আছেন।
প্রসঙ্গত, চীনের কোনো টিকাই এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সবগুলো ধাপ সম্পন্ন করেনি। এর আগেই এই টিকা প্রয়োগের তথ্য জানাচ্ছে দেশটি। বর্তমানে দেশটির চারটি সম্ভাব্য করোনা টিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পুরোপুরি সম্পন্ন না করা টিকাগুলো প্রয়োগ করা হলে, স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, চীনা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, সম্ভাব্য টিকাগুলোর পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হলেও, এই উপাত্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের উপাত্তের সঙ্গে যুক্ত করা হবে না।
গত শুক্রবার চীনের ইউয়ু শহরের স্থানীয় সরকার জানিয়েছিল, জরুরি প্রয়োজনে বাসিন্দাদের পরীক্ষামূলক টিকা ব্যবহার করতে দেয়া হবে। এ ঘোষণার পর থেকে শহরটিতে এমন টিকার চাহিদা বেড়েছে। এক পর্যায়ে রোববার থেকে করোনা টিকা বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের সম্ভাব্য দুটি করোনা টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ ধাপে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ইতিমধ্যে কয়েক লাখ মানুষের ওপর টিকাটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া, অপর একটি ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক জানিয়েছে, বেইজিংয়ে ১০ হাজার মানুষকে তাদের সম্ভাব্য টিকাটি প্রয়োগ করা হয়েছে।
চীনের কোভিড-১৯ টিকা তৈরি টাস্কফোর্সের প্রধান ঝেং ঝংওয়েই মঙ্গলবার জানান, চলতি বছরের মধ্যে ৬১ কোটি ডোজ করোনা টিকা উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন তারা।