চীনের উইঘুর মুসলিমদের উপর ‘নির্বিচার আটক, নির্যাতন এবং হয়রানি’ অভিযোগে চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ নিয়ে একটি বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। এই বিলে চীনা সরকারের সুনির্দিষ্ট কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে এবং স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং অঞ্চলের কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি চেন কুয়াঙ্গুও’র বিরুদ্ধে ‘টার্গেটেড অবরোধ’ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশেষ করে বিলটিতে জিনজিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
বিলটি এখন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনুমোদন করলেই চূড়ান্ত হয়ে আইনে পরিণত হবে।
চীন যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, এটি জিনজিয়াংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
এর আগেও এ বছর অক্টোবর মাসে চীনের ২৮ টি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। সেসব প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে জিনজিয়াং প্রদেশে চলমান উইঘুর নির্যাতনের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। ‘এনটিটি লিস্ট’ নামের একটি তালিকায় তাদের রাখা হয়েছে। ওই তালিকায় থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংস্থার সেসব প্রতিষ্ঠানে পণ্য বিক্রি করতে ওয়াশিংটনের অনুমোদন লাগবে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার বলছে, ডিটেনশান ক্যাম্পে আটকে রেখে মুসলিম উইঘুরদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালাচ্ছে চীন। যদিও চীন প্রতিবারই বলেছে, উগ্রপন্থা প্রতিরোধে তাদের ‘শুদ্ধি কেন্দ্রে’ রাখা হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ অভিযোগ তুলেছে উইঘুর মুসলিমদের হত্যা করে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করা হচ্ছে। এই ঘটনাকে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ নৃশংসতার সঙ্গেও তুলনা করেছা জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।