শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তের পর আবারও আমেরিকার পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে চীন। আজ বুধবার দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, দেশটিতে আসা আমেরিকার সব পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলো। এই শুল্ক আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ঘোষণাপত্রে দেখা যায়, চীনা পণ্যের ওপর তিনি ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। আগে চীনা পণ্যের ওপর এই শুল্ক ছিল ২০ শতাংশ।
ট্রাম্পের এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে চীন সরকার মার্কিন পণ্যের ওপরেও পাল্টা ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
চীন সরকারের এই পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত সোমবার তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘মঙ্গলবারের মধ্যে চীন যদি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা প্রত্যাহার না করে, তাহলে চীনা পণ্যের ওপর আরও অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।’ অর্থাৎ চীনা পণ্যের ওপর সর্বমোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে।
কিন্তু ট্রাম্পের হুমকি আমলে নেয়নি চীন এবং শুল্ক আরোপের ঘোষণা প্রত্যাহারও করেনি। ফলে মঙ্গলবারের পর আজ বুধবার থেকে কার্যকর হচ্ছে চীনা পণ্যের ওপর আমেরিকার ১০৪ শতাংশ শুল্ক। আর এর জবাবে চীনও শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়াল।
চীনের এই ঘোষণার পর আবারও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজার। আরও কমতে শুরু করেছে সূচক। লন্ডনে এফটিএসই ১০০ সূচক ৩.৩ শতাংশ কমেছে। আর জার্মানির ড্যাক্স ৪ শতাংশ এবং ফ্রেঞ্চ ক্যাক কমেছে ৪ শতাংশ।
বেইজিং থেকে ঘোষণা আসার পর প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন ট্রাম্প। এবার বিনিয়োগকারীদের আমেরিকার দিকে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এই নেতা। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘আপনার প্রতিষ্ঠানকে আমেরিকার দিকে নিয়ে আসার এটাই উপযুক্ত সময়। আর অপেক্ষা নয়।’