করোনাকালের এ সংকটময় অর্থনীতির মধ্যেই ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা বাজেটের ঘোষণা দিল চীন। শুধু সেনা খাতেই খরচ করবে ২০৮ বিলিয়ন ডলার বা ২০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
করোনাকালের এ সংকটময় অর্থনীতির মধ্যেই ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা বাজেটের ঘোষণা দিল চীন। শুধু সেনা খাতেই খরচ করবে ২০৮ বিলিয়ন ডলার বা ২০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
যা ভারতের চেয়ে তিন গুণ বড়। শুক্রবার বেইজিংয়ের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের সভার শুরুতে এই বিশাল বাজেটের ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং।
এদিন ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে ২০২১ সালের ওয়ার্ক রিপোর্ট পড়ে শোনান লি কেকিয়াং। তাতে বলা হয়-চলতি বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং জানান, ২০২১ সালে তাদের মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) ছয় শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থাৎ, মহামারির ধাক্কা দ্রুত সামলে উঠছে বেইজিং।
চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়, দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। একই সঙ্গে লালফৌজের আধুনিকরণের বিষয়টিও আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এই বরাদ্দ বৃদ্ধির ফলে আগামীতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হাত ধরেই চীনের সামগ্রিক অর্থব্যবস্থাও উন্নতির দিকে এগোবে।
গত বছর সামরিক খাতে বরাদ্দ ১৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এদিকে গত বছর চীন সামরিক খাতে প্রায় ১৭,৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যা ছিল সাম্প্রতিককালে অন্যতম বড় রেকর্ড। প্রতি বছর দেশের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসই (এনপিসি) সামরিক খাতের এই বিশালাকার বাজেট ঘোষণা করে।
হংকংয়ে বিরোধী প্রতিনিধিত্ব সম্পূর্ণরূপে বিলোপ করতে যাচ্ছে চীন : চীন সরকারের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া বৃহত্তর রাজনৈতিক পার্লামেন্টারি বৈঠকে হংকংয়ের বর্তমান নির্বাচকমণ্ডলীর ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হবে।
এই পরিবর্তনের হংকংয়ের প্রশাসনিক কাউন্সিলে শুধু ‘দেশপ্রেমিক’ অর্থাৎ চীনের প্রতি আনুগত্য থাকা ব্যক্তিরাই প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। বিবিসি
চীনের একমাত্র রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াং চেন শুক্রবার জানান, হংকংয়ের মৌলিক আইন অর্থাৎ এই বিশেষ অঞ্চলটিতে বিদ্যমান ‘ছোট সংবিধান’ পর্যালোচনা করা হবে।
এতে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ও লেজিসলেটিভ কাউন্সিল নির্বাচনের বর্তমান নিয়ম খতিয়ে দেখা হবে। ওয়াং আরও বলেন, বর্তমান আইনের কারণে বিরোধীরা শহরটির স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে পারছে। এসব ঝুঁকি দূর করতে হবে।
চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকং এতদিন ‘এক দেশ, দুই নীতি’র অধীনে পরিচালিত হতো। মূল ভূখণ্ডের তুলনায় এই শহরের বাসিন্দারা অনেকটাই অধিকার ও বাকস্বাধীনতা ভোগ করতেন। কিন্তু গত বছর হংকংয়ে বিশেষ জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করে চীন।
ওই আইনে গণতন্ত্রপন্থী ও স্বাধীনতাকামী কার্যকলাপ, চীন-বিরোধিতা, ছাত্র-রাজনীতি ও বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত নিষিদ্ধ করা হয়।
নিরাপত্তা আইনের পর সব গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতারা হংকংয়ের লেজিসলেটিভ কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ করার পর এখন সেখানেও কার্যতই কোনো বিরোধী প্রতিনিধিত্ব নেই। গত সপ্তাহে ওই আইনের অধীনে হংকংয়ের ৪৭ জন গণতন্ত্রপন্থি অধিকারকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।