চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে ভারসাম্য ছিল। প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারেনি। আবার পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে পিছিয়েও ছিল না ক্যারিবীয়রা। কিন্তু দ্বিতীয়দিনের পুরোটাই নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। মিরাজের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে তুলেছে ৪৩০ রান। মুস্তাফিজের ছো মারা নতুন বলে দুই উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিন শেষে করেছে ৭৫ রান।
প্রথমদিন ১৯৩ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাস জুটি গড়ে সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে দিন শেষ করেন। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই লিটন ফিরে যান ৩৮ রান করে। সাকিবের সঙ্গে আশা দেখানো জুটিটা ভাঙে ৫৫ রানে। পরের গল্পটা মেহেদি মিরাজের।
আটে নামা মিরাজ প্রথমে জুটি গড়েন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। ওই জুটিতে আসে ৬৭ রান। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিব বড় রানের আশা দেখিয়ে ফিরে যান ৬৮ রান করে। তবে হতাশ করেননি মিরাজ। তিনি থেমেছেন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০৩ রানের ইনিংস খেলে। তুলে নিয়েছেন ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
দারুণ ওই সেঞ্চুরি করতে ১৬৮ বলের মুখোমুখি হয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান মিরাজ। মেরেছেন ১৩টি চার। এছাড়া ১৮ রান করা তাইজুল ইসলামের সঙ্গে ৪৪ ও নাঈম হাসানের সঙ্গে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। তাদের ছোট ছোট রানে এবং প্রথমদিন সাদমানের ৫৯, মুশফিকের ৩৮ এবং নাজমুল শান্ত-মুমিনুলের যথাক্রমে ২৫ ও ২৬ রানে ভর করে বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজের একের পর এক ভেতরে ঢোকা বলে নাকাল হতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ওপেনার জোহান ক্যাম্পবেল ভেতরে ঢোকা বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। আম্পায়ার আউটের সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে তাকে সাজঘরে ফেরায় আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ।
এরপর তিনে নামা শাইনি ময়েসলিকেও ফেরান লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে। ফিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে রিভিউ নিয়ে বাঁচলেও ২ রান করা ময়েসলি ইয়োর্কার লেন্থের ওই বলে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। এর আগে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁ-হাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান তুলে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ডানহাতি অফ স্পিনার রাকিম কর্নওয়াল পান দুই উইকেট।