তিনি এবং তার আসন্ন প্রশাসন চাপ সৃষ্টি না করলে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে কখনো সই করত না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফসহ আমার দলের চাপ ছাড়া আলোচনা কখনোই চূড়ান্ত হতো না।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দ্বিতীয় মেয়াদে অভিষেকের চারদিন আগে ট্রাম্প ড্যান বোঙ্গিনো শো’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। খবর এএফপির।
ইসরাইলের মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে। এতে ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময় এবং ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পরে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির শর্তাবলি চূড়ান্ত করা হবে।
ট্রাম্প বলেন, আমরা চুক্তির গতিপথ পরিবর্তন করেছি, এবং তা দ্রুতই করেছি। সত্যি বলতে আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে এটা একটা ভাল কাজ।
চুক্তির শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা করতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বৈঠক করে। সোমবার ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেকের আগে রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে।
ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি চুক্তির কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিন্দা করেছেন এবং তাকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে মন্তব্য করেন। ট্রাম্প বলেন, বাইডেন কিছুই করেননি। আমি যদি এটা না করতাম,বা আমরা যদি না জড়াতাম তাহলে জিম্মিরা কখনোই বেরিয়ে আসতে পারবে না।
অবশ্য, বাইডেন গত মে মাসে শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব করেছিলেন যা রবিবার (১৯ জানুয়ারি) আলোর মুখ দেখতে চলছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি কীভাবে বাস্তাবায়ন হবে, সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, গাজার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পাশাপাশি বন্দি বিনিময়ের কথা রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের কার্যক্রম নিয়ে স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও বাইডেন জানান, পরবর্তী পর্যায়ে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ শেষ হবে গাজায়।