মৃত্যুর পরও আলোচনা থামছে না ঢাকার আরামবাগ এলাকায় অবস্থিত ‘দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের’ প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদাকে নিয়ে। যিনি দেওয়ানবাগী পীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুর সংবাদ দেশের প্রায় সব সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংবাদে হাজার হাজার মানুষ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বেশিরভাগই সমালোচনামূলক। যদিও কেউ কেউ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, মৃত্যুর পর কারো সমালোচনা করা উচিত নয়।
সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান দেওয়ানবাগী পীর। জীবিত থাকার সময় তিনি ছিলেন বিতর্কিত, আলোচিত, সমালোচিত। আবার ভক্তদের মধ্যে জনপ্রিয়তাও ছিল তার। তার বেশ কিছু বক্তব্য নানা সময়ে বিতর্কের জন্ম দেয়।
আলেমরা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছিলেন। আল্লাহ এবং রাসুল (সা.) কে নিয়ে তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এমন অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শফিকুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘উল্টা পাল্টা ফতোয়া দিয়ে তার উত্থান হয়েছে। ইসলামকে কাটছাট করেছেন তিনি। তিনি বেহেস্ত দিয়ে দেবেন, আল্লাহকে দেখেছেন, এসব বলে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছেন। আসলে মানুষ তো অন্ধ ভক্ত। বাঙালিরা অনেকে বেশি হুজুগে নামছে। এই জন্য তার ভক্ত হয়েছে।
১৯৪৯ সালের ১৪ই ডিসেম্বর ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দেওয়ানবাগী পীর জন্মগ্রহণ করেন। সেখানকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি। ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতানা আহমেদ চন্দ্রপুরীর মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন। এর কিছুদিন পরে নিজেই নারায়ণগঞ্জে দেওয়ানবাগ নামের একটি স্থানে আস্তানা তৈরি করেন এবং নিজেকে সুফি সম্রাট হিসাবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। সেখান থেকেই তার নামের সঙ্গে দেওয়ানবাগী শব্দটি যুক্ত হয়। পরবর্তীতে মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগে স্থায়ী দরবার গড়ে কার্যক্রম শুরু করেন।