চলতি বছরেই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি: নিয়োগ পাবে অর্ধ লাখ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবারও আসছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। এ বিজ্ঞপ্তিতে অর্ধ লাখ শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের কথা রয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আসন্ন বিজ্ঞপ্তিটি হবে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি। ইতিমধ্যে নিয়োগের নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরির কার্যক্রম শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব ড. এ টি এম মাহবুব-উল করিম বলেন, ‘আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে আমরা এ বিষয়ে যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করেছি।’
চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে পদের সংখ্যা কত হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি কোটা পদে নারী প্রার্থী না পাওয়ায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফলাফল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ পদগুলো চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে যোগ করা হবে। আর এখন পর্যন্ত আমরা প্রায় ৩৫ হাজার শূন্য পদের চাহিদা পেয়েছি। বলা যায় সবমিলিয়ে আবারও অর্ধ লাখ শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তবে এ পদের সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে।’
এর আগে গত ১৫ জুলাই রাতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি থেকে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জন এবং ননএমপিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জনকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।
ওই দিন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করা হলেও আদালতে মামলার কারণে আবেদনকারীদের ফলাফল এত দিন প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ৫১ হাজার ৭৬১টি পদে নিয়োগের ফল আজই প্রকাশ করা হবে।’
শিক্ষক নিবন্ধনের ১ থেকে ১২তম পর্যন্ত পাস করেও চাকরি না পাওয়া ২ হাজার ৫০০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে সুপারিশ করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে রায় ২৮ জুন বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ।
এর আগে গত ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।