‘রাতে বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। ঘুম ভাঙতেই দেখি চারদিকে আগুন জ্বলছে। আগুন আমাদের শরীরে লেগেছে। পরে আমরা নিজেরাই বাসার বাইরে বের হই।’ কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ শাহজাহান।
রবিবার(২৪ নভেম্বর) ভোরে মিরপুর-১১ এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা হলেন, রংমিস্ত্রী আব্দুল খলিল (৪০), তার স্ত্রী রুমা আক্তার (৩২), ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৩), মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪)। পাশের বাসার ভাড়াটিয়া পোশাক শ্রমিক মো. শাহজাহান (২৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার পারভিন (২২)।
শাহজাহান আরও জানান, তাদের বাসায় কোনো গ্যাস সিলিন্ডার নেই। বাসার সামনে দিয়ে গ্যাস লাইন রয়েছে।
আব্দুল খলিলের ভাতিজি নাসিমা আক্তার রুপালী জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার চর বাঙলাবাজার গ্রামে। তিন ছেলেসহ তার চাচা চাচী মিরপুরের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। তাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকেন আরেক দম্পতি। ভোরে তিনি খবর পান, ওই বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা সবাই দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, খলিলের ৯৫ শতাংশ, আব্দুল্লাহর ৩৮ শতাংশ, মোহাম্মদের ৩৫, রুমার ২০, আব্দুল্লাহর ৩৮, ইসমাইলের ২০, স্বপ্নার ১৪ ও শাহজাহানের ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থাই গুরুতর।