ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলতে না পারা দেশটি ৫২ বছর পর বিশ্বকাপে

দীর্ঘ ৫২ বছরের অপেক্ষার প্রহর শেষ করে অবশেষে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল হাইতি। গ্যাং সহিংসতা ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে নিজেদের মাঠে খেলতে না পারার প্রতিকূলতাকে জয় করে বিদেশের মাটিতে খেলেই ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এ ফিরেছে এই ফুটবলপ্রিয় দেশটি।

কুরাসাও এর স্টেডিওন এরজিলো হাতোতে আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) হন্ডুরাসের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় তুলে নিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই দেশ। রুবেন প্রভিডেন্স এবং লুইসিয়াস ডিডসন হাইতির হয়ে গোল দুটি করেন। সর্বশেষ ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ খেলেছিল হাইতি।

গ্যাং সহিংসতায় অনিরাপদ হয়ে ওঠায় হাইতিকে ঘরের মাঠের সব ম্যাচই খেলতে হয়েছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। তবে ফুটবলের প্রতি তীব্র ভালোবাসা নিয়ে সব প্রতিকূলতাকে শেষ পর্যন্ত জয় করেছে ‘লেস গ্রেনেডিয়াররা’। কনক্যাকাফ অঞ্চলের বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘সি’ থেকে কোস্টারিকা ও হন্ডুরাসের মতো শক্তিশালী দলকে পেছনে ফেলে ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করে হাইতি।

 

ঐতিহাসিক দিনে আবেগাপ্লুত হাইতির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ড. জোসেফ ডুরানডিস বলেন,‘বায়ান্ন বছর! আমরা ফিরে এসেছি। আপনি কি বিশ্বাস করতে পারেন? কঠিন দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া একটি দেশ, আমরা বিশ্ব মঞ্চে ফিরে আসার শক্তি খুঁজে পেয়েছি… সব প্রতিকূলতার পর, হাইতি আবারও বিশ্বকাপের মঞ্চে।’

উল্লেখ্য, ১৮ নভেম্বর ছিল হাইতির স্বাধীনতা দিবস। ঠিক একদিন পরে ফুটবলে হাইতির এমন সাফল্য যেন আরও আবেগাপ্লুত গোটা জাতি। হাইতির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি আরও বলেন,‘নভেম্বর ১৮, ভার্টিয়ার্স যুদ্ধের ২২০ বছর পরে, হাইতি ফিরে এসেছে। আমরা আরেকটি যুদ্ধ জিতেছি, এবার ফুটবল মাঠে… এই দেশ মরতে পারে না, এই দেশ কখনো মরতে পারবে না। হাইতি ফিরে এসেছে!’