বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করছেন। পবিত্র রমজান মাস শেষের হওয়ার পর ইউক্রেনের মুসলমানরাও সোমবার যুদ্ধের মধ্যেই ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করেছেন। দেশটির রাজধানী কিয়েভের ইসলামিক কমিউনিটি সেন্টার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য বেশ কিছুসংখ্যক মুসল্লি জড়ো হন।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সির সাথে কথা বলার সময়, ইউক্রেনিয়ান মুসলিম কাউন্সিলের সভাপতি সেরান আরিফভ জানান, ইউক্রেনের উপর চলমান রাশিয়ান হামলার কারণে অনেক মুসলমানকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বাকিরা দেশের মধ্যেই নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যান।
যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, আরিফভ মুসলিম সম্প্রদায়কে দেশ ও জনগণের জন্য অবদান রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করার আহ্বান জানান।
ইউক্রেনের ইজমাইল স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ হিউম্যানিটিজ-এর অধ্যাপক সাইফুল্লাহ রশিদভ, সকল মুসলমানদের ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের শান্তিপূর্ণ ও সুস্থ জীবন কামনা করেছেন। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ইউক্রেনের নাগরিক আলি আসাদি বলেছেন, তারা চান যুদ্ধ শীঘ্রই শেষ হয়ে যাক।
জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিডাব্লিউ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়- বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা ঈদুল ফিতরের আনন্দে মেতে উঠলেও ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে খাদ্য, পোশাক এবং অন্যান্য পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যাওয়ার কারণে মানুষ কোণঠাসা হয়ে গেছে।
জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ইউক্রেনে কমপক্ষে ২,৮৯৯ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, আহত হয়েছেন ৩,২৩৫ জন। কিন্তু, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, ৫৪ লাখেরও বেশি মানুষ অন্য দেশে পালিয়ে গেছেন। আর, প্রায় ৭৭ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।