অজু ও গোসল পবিত্রতার মাধ্যম। অজু আরবি শব্দ। এর অর্থ পরিচ্ছন্ন, সুন্দর ও স্বচ্ছ। পারিভাষিক অর্থে বিশেষ নিয়মে বিভিন্ন অঙ্গ ধোয়াকে অজু বলা হয়। আর গোসল আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে পুরো শরীর ধোয়া। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়– পবিত্রতা ও আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে পবিত্র পানি দিয়ে পুরো শরীর ধোয়াকে গোসল বলা হয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের বলেছেন, ‘তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাকো, তবে নিজেদের শরীর (গোসলের মাধ্যমে) ভালোভাবে পবিত্র করে নাও।’ (সুরা মায়েদা: ৬)
অনেকে জানতে চান, গোসলের পর কি অজু করতে হয়, এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, গোসলের পর অজু করতে হবে না। এর মাধ্যমে অজু হয়ে যায়। তবে যদি গোসলের পর অজু ভঙ্গের কারণ পাওয়া যায় তাহলে তো অবশ্যই অজু করতে হবে।
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসলের পরে নতুন করে অজু করতেন না। (তিরমিজি: ১০৭)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে গোসলের পর অজু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,
গোসল অপেক্ষা কোন অজু ব্যাপকতর? (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৭৪৮)
অর্থাৎ গোসলের মধ্যে পুরো শরীর ধোয়া হয়। আর অজুর মধ্যে নির্দিষ্ট অঙ্গ ধোয়া হয়। তাহলে গোসল অজুর চেয়ে ব্যাপক।
জানা যায়, গোসল করার পর অজু করার কোনো বিধান ইসলামে নেই। ফরজ গোসল হলে কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া ফরজ এবং পরিপূর্ণ অজু করে নেয়া সুন্নত, যা গোসলেরই অংশ। আর গোসল ফরজ না হলে কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া সুন্নত এবং পরিপূর্ণ অজু করা মোস্তাহাব। তাই যথাযথভাবে গোসল করার পর নতুন করে আবার অজু করতে হয় না। (বুখারি: ২৪৮; উমদাতুল কারি: ০৩/৮৬)