এক মিনিটের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৫টি কয়েন দিয়ে টাওয়ার সাজিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নাম লেখাল চট্টগ্রামের হাটহাজারীর কিশোর আয়মান মুহাম্মদ (১৬)। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় এ স্বীকৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুক প্রতিযোগিতার বিষয়টি দেখে সেদিন থেকে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের উৎসাহে চর্চা শুরু করেন আয়মান।
আয়মান উপজেলার মেখল ইউনিয়নের আমান শাহ বাড়ির ওমান প্রবাসী মো. মুসার পুত্র। সে চার ভাইবোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। তার এমন সফলতা তথা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অর্জন করায় এলাকাবাসীর মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
এছাড়াও আয়মান দীর্ঘক্ষণ ফুটবল পায়ে রাখারও তার দক্ষতা অবিশ্বাস্য। এই কিশোরের অনন্য প্রতিভায় মুগ্ধ উপজেলার সব শ্রেণি-পেশার লোকসহ আবালবৃদ্ধবনিতা। তাছাড়া পৃথিবীর বুকে নিজ দেশ বাংলাদেশ তথা হাটহাজারী উপজেলার নামটা তুলে ধরল আয়মান।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে নাম লেখানো আয়মান পৌরসভা এলাকার সানফ্লাওয়ার প্রিপারেটরি স্কুল থেকে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এবারের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী। পড়াশুনায়ও তার বেশ সুনাম রয়েছে।
গিনেস বুক রেকর্ডধারী জানায়, ছোট থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গিনেস বুকের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন রেকর্ড দেখে তার মনে ইচ্ছা জাগে আমিও যদি তাদের মতো একটি রেকর্ড গড়তে পারতাম। সেই প্রচেষ্টা থেকে আমি এক মিনিটের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৫টি কয়েন দিয়ে টাওয়ার সাজিয়ে আজ সফল হয়েছি। যদিও এই সফলতার পেছনে আমার বেশ আত্মবিশ্বাস ছিল।
আয়মান আরও জানায়, সেই পূর্বের করা রেকর্ডটি ব্রেক করার জন্য আমি দীর্ঘদিন প্রস্তুতি নেওয়ার পর সেটি আমার আওতায় চলে আসে। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আমি রেকর্ডটি ব্রেক করার জন্য গিনেস বুকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করি। আবেদন করার পর ১৭ মার্চ গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ মেইলের মাধ্যমে জানায় আমার আবেদনটি গ্রহণ করেছে এবং রেকর্ডটির ভিডিও পাঠানোর জন্য বলে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমার রেকর্ডটি ভিডিও পাঠাই।
এর মধ্যে গত ১২ জুন ই-মেইলের মাধ্যমে রেকর্ডটির ফলাফল জানায়- আমার রেকর্ডটি সফল হয়েছে। আমি এখন এই ক্যাটাগরিতে রেকর্ড হোল্ডার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গিনেস বুকের রেকর্ড ব্রেক করার স্বীকৃতিপত্র প্রেরণ করবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রেকর্ডটি গড়ে আয়মানের খুবই ভালো লেগেছে এবং খুবই আনন্দিত এমনটা জানিয়ে বলে- নিজের দেশের হয়ে কিছু করতে পেরেছি সেটাই আমার জন্য খুবই গর্বের বিষয়। সে সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।