আজকাল সড়কে চলতে গেলে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে গাড়ির হর্ন; যা প্রায়ই বিরক্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। অধীর চালকরা একে অপরকে চেঁচিয়ে এবং হর্ন বাজিয়ে বিরক্ত করেন—এর সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার তো আছেই—যা প্রায়ই ঝগড়া বা আরও খারাপ কিছুর দিকে গড়ায়।
আধুনিক গাড়িতে অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকলেও একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্যের অভাব রয়েছে, যা অবশ্যই প্রয়োজনীয় করা উচিত—হর্নের ধরণে পরিবর্তন আনা।
গাড়ির হর্নের আওয়াজ এমন একটি জিনিস যা বেশ বিরক্তিকর। গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন নির্বোধ লোক হর্ন বাজিয়ে যানজট কমাতে পারেন না; বরং এটি শুধু রাগ এবং রক্তচাপ বাড়ায়। এর কারণ হর্নের আওয়াজ সাধারণত কানে লাগে।
তাহলে কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না যে সমস্ত গাড়ির হর্ন পাখির ডাক বা সুরের মতো শোনাবে? যদি আপনার পেছনে থাকা হুমভি চালক স্কাইলার্ক বা বুলবুলের মতো ডাক দেয়, তবে আপনি হাসিমুখে এবং স্নেহপূর্ণভাবে তাকে রাস্তা ছেড়ে দেবেন, যদিও তিনি রাগে ফুঁসছেন। তবে, কিছু পাখির ডাক নিষিদ্ধ করাও জরুরি। যেমন মোরগের কুঁ-কুঁ আওয়াজ, কাক বা শিকারি পাখিদের ডাকে হর্ন বানানো যাবে না।
আরেকটি উদাহরণ হল ‘ব্রেন-ফিভার’ পাখির ডাক। এই ডাক পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। কোকিলের ডাক ‘আরও এক বোতল’ বলতে শোনায়, যা হয়তো চালককে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য দোষী করবে!
কল্পনা করুন, যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এক বিশাল যানজটে স্কাইলার্ক, বুলবুল, বা ফ্লুট বাজানো ম্যাগপাই রবিনের সুর শোনা যাবে। এমনকি উচ্চ-মানের এসইউভিগুলিতে পাখির সুর বেছে নেওয়ার অপশন থাকবে।
আপনার মনে হতে পারে, যে লোকটি আপনার পেছনে লার্কের মতো ডাকছে, তার হর্ন শুনতে আপনার মেসিডিজের ভিতর থেকে কষ্ট হবে। তবে কাসৌলিতে একদিন সকালে শোনা একটি হিল বারবেটের ডাক এত উচ্চস্বরে ছিল যে তা সম্ভবত শিমলা পর্যন্ত শোনা যেত!
এখন, পাখিরা যদি এই আওয়াজ শুনে বেরিয়ে আসে, তাহলে তাদের সৌন্দর্য দেখে হয়তো আমরা তাদের এবং তাদের বাসস্থান রক্ষার জন্য আরও উদ্যোগী হব। শুধু তাদেরও যেন রোড রেজ না হয়!