কর্মী ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
কারখানায় কর্মী ছাঁটাই কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকালে উপজেলার মাটিকাটা রেললাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সকালে কারখানায় কর্মী ছাঁটাইয়ের নোটিশ দেখে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এ সময় নিরাপত্তা কর্মীদের অফিস ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
কারখানার শ্রমিকরা জানান, উপজেলার মাটিকাটা এলাকার ওই পোশাক তৈরি কারখানায় বিনা নোটিশে শ্রমিক ছাঁটাই কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়।
তারা আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে কর্মী ছাঁটাই কেন্দ্র করে শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানার কর্তৃপক্ষের তর্কবির্তক চলে। শনিবার কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর মঙ্গলবার সকালে কারখানা খুলে দেওয়া হয়। পরে বুধবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করতে চাইলে গেটের সামনে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের নোটিশ দেখতে পায়।
সকালে শ্রমিকরা কারখানার মেইনে গেটে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ৮৬ শ্রমিকের ছবিসহ কর্মী ছাঁটাইয়ের একটি লিস্ট টাঙানো দেখতে পান। পরে প্রত্যেক শ্রমিককে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে প্রবেশ করতে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এ সময় শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে বহিরাগত ২০-৫ যুবক ওহেদুল (যার কার্ড নং ৯০২১৬৬ সেকশন সুইং) নামে এক শ্রমিককে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এর প্রতিবাদে কারখানার সব শ্রমিক আন্দোলন শুরু করেন।
পুলিশ জানায়, কারখানার গেটের পাশে থাকা নিরাপত্তাকর্মীর অফিস ভাঙচুর করেন শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে শ্রমিকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াসহ দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইনচার্জ ফরহাদ আব্বাস বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের দুটি সেকশন বন্ধ করে দেওয়ায় শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় শ্রমিকরা কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আহত করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৯ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
তবে এ বিষয়ে কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বলতে চাইলে, তারা কথা বলতে রাজি হননি।