ইসরায়েলের আক্রমণে গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা জানিয়েছে। সংস্থাটি স্থানীয় সময় রবিবার আরো জানিয়েছে, অনেক শিশু গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে, এমনকি তাদের কান্নার শক্তিও নেই। ফিলিস্তিনি ছিটমহলে পরিচালিত জাতিসংঘের প্রধান সংস্থা শনিবার জানিয়েছে, উত্তর গাজায় ২ বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন শিশু এখন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। পাশাপাশি দেখা দিচ্ছে দুর্ভিক্ষ।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল রবিবার সিবিএস নিউজের ‘ফেস দ্য নেশন’ প্রোগ্রামকে বলেছেন, ‘আরো হাজার হাজার শিশু আহত হয়েছে বা নিখোঁজ। কোথায় আছে তা আমরা বের করতে পারছি না। অনেক মৃত শিশু ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারে… আমরা বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে শিশুদের এমন মৃত্যুর হার দেখিনি।’ রাসেল আরো বলেন, ‘আমি শিশুদের ওয়ার্ডে ছিলাম।
তারা মারাত্মক রক্তাল্পতা ও অপুষ্টিতে ভুগছে। পুরো ওয়ার্ডটি একেবারেই শান্ত। কারণ বাচ্চাদের… কান্নার শক্তি নেই।’
যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা, গাজায় অনাহার এবং ছিটমহলে ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়ার কারণে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক সমালোচনা বেড়েছে।
জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ এই মাসের শুরুতে বলেছিলেন, ‘ইসরায়েলর গাজার খাদ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।’ তবে ইসরাইল এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামাস-শাসিত গাজায় ইসরায়েলের সামরিক হামলা প্রায় ২.৩ মিলিয়ন-জনসংখ্যাকে বাস্তুচ্যুত করেছে। এ ছাড়া সেখানে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। অনাহারে ইতিমধ্যেই অনেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৩১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স