গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পুনর্গঠনে প্রয়োজন ১০ বিলিয়ন ডলার

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে ভেঙে পড়েছে গোটা ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এ অবস্থায় অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের বিধ্বস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন। আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

দিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে অনেক বড় অংকের অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। তার মতে, “গাজার শুধুমাত্র স্বাস্থ্যখাত পুনর্গঠনের জন্য প্রথম দেড় বছরের জন্য ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং তারপর পাঁচ থেকে সাত বছরের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে বলে তারা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন।

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার একটি হাসপাতালের কক্ষে পড়ে আছে রোগীর শয্যা।

পিপারকর্ন বলেছেন, আমরা সবাই ভালো করেই জানি, গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে তা অকল্পনীয়। আমি আমার জীবনে বিশ্বের অন্য কোথাও এমন পরিস্থিতি দেখিনি।

অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস ইতোমধ্যেই বলেছেন, গাজার ৯০ শতাংশ হাসপাতাল ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে।

এর আগে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ১৫ মাসের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হামাস এবং ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায়। দীর্ঘ কয়েক মাস আলোচনার পর গত বুধবার এই চুক্তিতে পৌঁছায় উভয়পক্ষ, যার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী ছিল কাতার। যুদ্ধবিরতির এই খবরকে “সেরা খবর” বলেও উল্লেখ করেছেন গেব্রেইয়েসুস।

হামলায় আহত সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে ছুটছেন এক বাবা। ছবি: সংগৃহীত

তার আশা, দীর্ঘ আলোচনার পর উভয়পক্ষের সম্মত হওয়া এই চুক্তি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সম্পর্কের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাবে। তিনি বলেছেন, আসুন আমরা সবাই এই খবরকে অত্যন্ত স্বস্তির সাথে স্বাগত জানাই।

আগামী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে চলেছে। তিন ধাপের এই চুক্তিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি, সেখান থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং হামাসের হাতে আটক থাকা বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যদিও এখনও গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পর ইসরায়েলি হামলায় গাজায় শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত ৮৭ জনেরও বেশি নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

Comments (0)
Add Comment