দশ মাস পর দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দশ শতাংশের নিচে নামল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ, জানুয়ারি মাসে যেটি ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ।
এর আগে গত বছরের মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল নয় দশমিক ৮৭ শতাংশ। যা বেড়ে এপ্রিলে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ হয়। এরপর গত দশ মাসেও তা আর এক অংকের ঘরে আসেনি।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সার্বিক মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে, যাতে এ চিত্র উঠে এসেছে।
বিবিএস বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ। আর সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তবে বেড়েছে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি।
বিবিএসের সবশেষ তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ হয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে যেটি ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ, জানুয়ারি মাসে যেটি ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বিবিএসের প্রকাশ করা এই সর্বশেষ পরিসংখ্যান মূলত ফেব্রুয়ারি মাসের চড়া বাজার পরিস্থিতিকেই প্রতিফলিত করেছে। অর্থাৎ খাদ্যপণ্যের দাম নিম্নবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের অনেকটা নাগালে এসেছে।
এদিকে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৩২ শতাংশে। যা গত জানুয়ারিতে ছিল শতকরা ৯.৯৪ ভাগ। ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল শতকরা ৯.৬৭ ভাগ।
এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫১ শতাংশে।