০১। ক্রিস গেইল
ক্রিস গেইলের মারকাটারী ব্যাটিং এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং এর সংজ্ঞাই বদলে ফেলা এই ব্যাটসম্যান কিন্তু টেস্টেও অসাধারণ এক রেকর্ডের অধিকারী। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি কোন এক টেস্ট ম্যাচের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তাঁর আগে এই রেকর্ড আর কারো ছিল না। এখন পর্যন্ত সেটি অক্ষুণ্ণই আছে।
০২। অ্যালেক স্টুয়ার্ট
অ্যালেক স্টুয়ার্ট ইংল্যান্ডের একজন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ছিলেন। ছিলেন সাবেক অধিনায়কও। তাঁর জন্মতারিখের সাথে তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের রানের একটা অদ্ভুতুড়ে সামঞ্জস্য আছে। তাঁর জন্মতারিখ ৮.৪.৬৩। মজার ব্যাপার হলো, তাঁর মোট টেস্ট রানও ৮৪৬৩!
০৩। ম্যাচের তারিখ, সময় ও প্রয়োজনীয় রান যখন একই
১১/১১/১১ তারিখের কোন এক ম্যাচে, সকাল ১১.১১ মিনিটে ম্যাচ জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ঠিক ১১১ রান!
০৪। টানা ম্যান অব দ্য ম্যাচ
ক্রিকেট ম্যাচে “ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ” হওয়া নিঃসন্দেহে অনেক সম্মানজনক একটি কীর্তি। কিন্তু একটানা কতগুলো ম্যাচে ম্যাচসেরা হওয়া সম্ভব? ১ টি? ২ টি? নাকি ৩ টি?
প্রিয় পাঠক একটানা ৪ টি ওয়ানডেতে একজন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন। বলুন তো কে তিনি? শচীন টেন্ডুলকার? রিকি পন্টিং? নাকি জয়াসুরিয়া?
তিনি “বাংলার রসগোল্লা” সৌরভ গাঙ্গুলী।
০৫। ইনজামাম উল হক
ইনজামাম উল হকের নাম শুনতেই আমাদের মনের আয়নায় ভেসে ওঠে একজন নাদুস নুদুস ব্যাটসম্যানের ছবি। ক্রিকেটের এক অলস সৌন্দর্যের ছবি। যিনি অহেতুক দৌড়ে রান নেওয়া পছন্দ করতেন না। পিচে দাঁড়িয়েই বিশাল সব ছক্কা হাকাতেন অবলীলায়। স্পিনে দারুণ দক্ষ এই ব্যাটসম্যানের কিন্তু বোলার হিসেবেও একটা মজার রেকর্ড আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি তাঁর প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছিলেন!
০৬। যারা ব্যাটিং এর ১০ টি পজিশনেই ব্যাট করেছিলেন
ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যান ভিন্ন একেক পজিশনে সফল হন। অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং যেমন ৩ নম্বরে ব্যাট করে সফলতা পেয়েছেন। বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম যেমন ৪ এ ভালো খেলেন। এখন যেমন সাব্বির রহমান টি-টোয়েন্টিতে ৩ এ ধারাবাহিকভাবে ভালো ব্যাটিং করছেন। কিন্তু পাঠক হয়তো জানলে অবাক হবেন, ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ৪ জন খেলোয়াড় আছেন, যারা বিভিন্ন সময় দলের প্রয়োজনে ১০ টি ভিন্ন পজিশনে ব্যাট করেছেন। তাঁরা হলেন- ল্যান্স ক্লুজনার, আব্দুর রাজ্জাক, শোয়েব মালিক এবং হাশান তিলকারত্নে।
০৭। থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রান আউট হওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান
ক্রিকেট ইতিহাসে অনেকগুলো প্রথম ঘটনার সাথেই শচীন টেন্ডুলকারের নাম জড়িয়ে আছে। এর অনেকগুলোই আমরা জানি। আবার অনেকগুলো জানিও না। তিনিই যে টেস্ট ক্রিকেটে থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রান আউট হওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান, এটা আমরা কয়জন জানি? ১৯৯২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে একটি টেস্ট ম্যাচে তিনি থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রান আউট হন। ফিল্ডার ছিলেন জন্টি রোডস। মজার ব্যাপার হলো, ঠিক তার পরের দিনই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং এর সময় জন্টি রোডসকেও তিনি একই কায়দায় রান আউট করেন!
০৮। ভারতের তিন কীর্তি
ভারত ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি দুই ধরণের ক্রিকেটেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এটা আমরা সবাই জানি। মজার ব্যাপার হলো, ভারতই ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র দল, যারা ৬০ ওভার, ৫০ ওভার এবং ২০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জিতেছে।
পাঠক, ঘাবড়ে গেলেন? ঘাবড়ানোর কিছু নেই! ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপের সময় ওয়ানডে ক্রিকেট ৬০ ওভারের খেলা ছিল। যা পরে পরিবর্তিত হয়ে ৫০ ওভারে নেমে আসে। সেই হিসাবে ভারত ৬০, ৫০ এবং ২০ ওভারের বিশ্বকাপজয়ী একমাত্র দল। মজার না?
০৯। যিনি ক্রিকেটার, তিনিই টেনিস খেলোয়াড়
কেনিয়ার সাবেক অধিনায়ক আসিফ করিমকে আমরা সবাই চিনি। সে সময় তিনিই ছিলেন কেনিয়ার অধিনায়ক। মজার ব্যাপার হলো, তিনি ক্রিকেটের পাশাপাশি কেনিয়ার হয়ে টেনিসও খেলেছেন। সেটিও ডেভিস কাপে!
১০। হ্যাট্রিক ও জন্মদিনের উপহার
টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাট্রিক একজন বোলারের আজন্ম আরাধ্য স্বপ্ন। এই স্বপ্ন যদি পূরণ হয় নিজ জন্মদিনের দিন, তাহলে কেমন হয়? হ্যাঁ প্রিয় পাঠক, অস্ট্রেলিয়ার পেসার পিটার সিডলের জীবনেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। ২০১০ সালের ২৫ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রিসবেন টেস্টে তিনি হ্যাট্রিক এর গৌরব অর্জন করেন। মজার ব্যাপার হলো, ২৫ নভেম্বর তাঁর জন্মদিনও! নিজের জন্মদিনে নিজেকে এর থেকে ভালো উপহার আর কি ই বা হতে পারতো?