নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বর্তমানে পাঁচ বিদেশি এয়ারলাইনসকে সেবা দিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসিসি)। শাহজালাল বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হলে ক্যাটারিং সেবার চাহিদা আরও বাড়বে। এ অবস্থায় সহযোগী প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বাড়াতে দ্বিতীয় ইউনিট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিমান। এ জন্য বিমানবন্দরসংলগ্ন তিন একর জায়গা চায় এয়ারলাইনসটি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানায়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের আগেই আরও তিন বিদেশি এয়ারলাইনস ক্যাটারিং ও কেবিন ড্রেসিং সেবা পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু বর্তমান সক্ষমতা অনুযায়ী, এত বিপুলসংখ্যক সম্ভাব্য গ্রাহকের ক্যাটারিং সেবা দিতে প্রস্তুত নয় বিএফসিসি। তাই গত ২৪ জানুয়ারি ঢাকায় বিএফসিসির দ্বিতীয় ইউনিট চালু করতে বিমানবন্দর এলাকায় তিন একর ভূমি বরাদ্দ চেয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে থার্ড টার্মিনাল চালু হবে। তখন অনেক বিদেশি এয়ারলাইনস বিমান ক্যাটারিং সেন্টার থেকে খাবার নিতে আগ্রহ দেখাবে। সম্প্রতি চায়না এয়ার, রয়েল ব্রুনেই এবং ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস বিএফসিসি থেকে খাবার নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে বিএফসিসির বর্তমান সক্ষমতা অনুযায়ী সম্ভাব্য গ্রাহকদের ক্যাটারিং সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিএফসিসির দ্বিতীয় ইউনিট চালু করার বিষয়টি অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় তিন একর ভূমি বরাদ্দ দেওয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএফসিসি খাবার ও পানীয়, কেবিন ড্রেসিং, লন্ড্রি পরিষেবা, ইন-ফ্লাইট সরঞ্জাম ধোয়া, বন্ডেড আইটেম, বিনোদন, পড়ার উপকরণ, প্রসাধন সামগ্রীসহ বহুমাত্রিক ফ্লাইট পরিষেবা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশ বিমানের পাশাপাশি বিশ্বের বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস যেমন, ইজিপ্ট এয়ারলাইনস, মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস, ক্যাথি প্যাসিফিক, টার্কিস এয়ারওয়েজ, জাজিরা এয়ারওয়েজ বিএফসিসির অন্যতম প্রধান গ্রাহক। এ ছাড়া, এমিরেটস, গালফ এয়ার, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, থাই এয়ারওয়েজ, সৌদিয়া এয়ারলাইনসও বিএফসিসির অন্যতম সেবাগ্রহীতা। বিএফসিসি বর্তমানে দৈনিক ১০ থেকে ১১ হাজার মিল (খাবার) তৈরি করছে, যা হজের সময় দাঁড়ায় দৈনিক ১৪ হাজার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ৪৬ কোটি টাকা আয় করেছে বিএফসিসি।