বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু হয় কোরিয়ান কনসার্ট। বাংলা ও কোরিয়ান ভাষার পৃথক পৃথক গানে করতালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন উপস্থিত দুই দেশের দর্শকরা। কোরিয়ান ভাষা না বুঝলেও ভিনদেশি গানের সঙ্গে গলা মেলাতে দেখা যায় বাংলাভাষী অনেক তরুণ-তরুণীকে।
শনিবার (১ অক্টোবর) ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটারে কোরিয়ান মিউজিক কনসার্টে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
কনসার্টে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী শিমরান শিমু বলেন, ‘কোরিয়ান গানের অর্থ না বুঝলেও, ড্যান্সটা খুব ভালো লাগে। তাদের পোশাকেও নান্দনিকতা রয়েছে।’
কনসার্টে সাত সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত কোরীয় ফিউশন মিউজিক ব্যান্ড ‘ই-সাং’ আধুনিক ফিউশন শৈলীতে কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকগানের লাইভ পারফরম্যান্স উপস্থাপন করেছে। ঐতিহ্যবাহী কোরিয়ান মিউজিক ইনস্ট্রুমেন্ট যেমন গেজিয়াম, জাংগু (ড্রমি) এবং তাপেইয়ংসোর (বাঁশি) পাশাপাশি বেইস গিটার, কিবোর্ড পিয়ানো এবং ড্রামের মতো পশ্চিমা যন্ত্রগুলো তাদের পারফরম্যান্সের সময় ব্যবহার করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসি মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে কোরিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক কোরিয়াতে কাজ করে, তারা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কোরিয়ার অনেক উদ্যোক্তা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া কোরিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।’
এই কনসার্ট আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন তৈরি হবে বলে জানান ডিএনসিসির মেয়র। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন উপস্থিত ছিলেন।