পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তদন্তের আগে কাউকে অপরাধী বলা নৈতিক নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যেন সংবাদ প্রকাশ না হয় সেদিকে সতর্ক থাকা উচিত।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, একটি বিশেষ মহল বিএনপির সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের সঙ্গে কিছু সংবাদমাধ্যমও আছে। তদন্তের আগে কাউকে অপরাধী বলা নৈতিক নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যেন সংবাদ প্রকাশ না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকা উচিত। কেউ যেন ইনোসেন্ট ভিক্টিম না হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতার দল নয়, কর্মীদের দল। অন্য দলের সঙ্গে পার্থক্য হচ্ছে অভ্যন্তরীণ চর্চা আছে। বিএনপিসহ অন্য দলের যে যোগ্যতা নেই- এটাই আওয়ামী লীগের সৌন্দর্য। শেখ হাসিনা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আগলে রাখেন। যে কারণে সব সংকটে তারা দলের পাশে থাকেন। যারা আওয়ামী লীগ থেকে সরেছে-তারা আজ রাজনীতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছেন। ৭৫ বছরের পথচলায় দলটি নিশ্চিহ্ন করতে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেকে দল ছেড়েছেন ও বেইমানিও করেছেন; তারা রাজনীতি থেকে হারিয়েও গেছেন। এটাই রাজনীতির শিক্ষা।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে ভাগ করেছিলেন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (জিয়া) ভেবেছিলেন এ দলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যাবে কিন্ত পারেননি তিনি। কারণ জনগণ সঙ্গে ছিল আর হাল ধরেছেন শেখ হাসিনা। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বঙ্গবন্ধুহীন দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাবাহীন সংকটাপূর্ণ সংসারকে মায়ের মমতায় কর্মীদের আগলে রেখেছেন তিনি। ২১ বছর ধরে আমাদের শুনতে হয়েছে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় যাবে না। তিনি পরপর চারবার দলকে ক্ষমতায় নিয়ে গেছেন।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, এ বছর দুবার আমরা ভারত সফরে গিয়েছি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রতিনিধিরা
সেখানে উপস্থিত ছিলেন। স্টেজ থেকে ঘোষণা হচ্ছিল লংগেস্ট সার্ভিস প্রোভাইডার লেডি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। যে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যখন উপস্থিত হওয়া হয়, সবার আকর্ষণে থাকেন শেখ হাসিনা।
‘আওয়ামী লীগের কাছে যেমন শেখার আছে, শেখ হাসিনার কাছেও অনেকের শেখার আছে। বিশ্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। টালমাটাল পৃথিবী, সেই পরিস্থিতিতেও আমরা উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছি। ইউরোপে পণ্যের সংকট হলেও আমাদের দেশে হয়নি। এটি তার কারণেই সম্ভব হয়েছে।’
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. অরুপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন- জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি মোবারক আলী শিকদার প্রমুখ।