বাবা নেই আয়েশার। মা স্ট্রোক করে আছেন হাসপাতালে। মাকে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয় তার। আর এ কারণে তাকে বসতে দেওয়া হয়নি পরীক্ষায়।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী আয়েশা মিরপুরে অবস্থিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী।
জানা যায়, পরীক্ষা শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কেন্দ্রে উপস্থিত হন আয়েশা। নির্ধারিত সময়ের পর কেন্দ্রে পৌঁছানোয় তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। তাকে কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
পরীক্ষাকেন্দ্রে আয়েশার সঙ্গে আসা তার খালা সংবাদমাধ্যকে বলেন, আয়েশার বাবা নেই। আজ সকালেই তার মা স্ট্রোক করেছেন। মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় আয়েশার পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, মানবিক বিবেচনায় আয়েশার পরীক্ষা নেওয়া যেত।
বিষয়টি ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। পোস্টে বলা হয়, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেছেন, মানবিক বিবেচনায় ওই শিক্ষার্থীর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত আইন ও বিধির আলোকে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, ‘তার (ছাত্রী) এ দুঃসময়ে আমরাও সমব্যথী। এ পরীক্ষার্থীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’