বাংলাদেশের মানুষ কেনেডি পরিবারকে মনে রেখেছে, তাই তাঁরা সম্মানিত বোধ করেন। তাঁরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছেন। এ থেকে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে কেনেডি পরিবারের লোকজন বিশেষ সংযোগ বোধ করে। এসব কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে এডওয়ার্ড এম কেনেডি জুনিয়র।
বাংলাদেশ সফরের চতুর্থ দিনে কেনেডি জুনিয়র পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন।
কেনেডি জুনিয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আসতে পেরে আমি ও আমার পরিবার সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশে আসার আগেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল এখানে আসার। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন করা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ভুল সিদ্ধান্ত, এটি আমার বাবা বলেছেন বলিষ্ঠ কণ্ঠে। সেই অতীতের ঘটনা মনে রেখেছে ঢাকা। আমাদের সম্মানিত করা হয়েছে। আমরা বিশেষভাবে আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি এদেশের আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকে সবসময় মনে রাখবে। মনে রাখবে আমার বাবার অবদান।’
এদিন সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন জুনিয়র কেনেডি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সফরকালে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আকর্ষণীয় স্থান পরিদর্শনের পাশাপাশি দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা এই আইনজীবী ঢাকার এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দ্য আর্টসে প্রতিবন্ধীদের অধিকার বিষয়ে বক্তৃতা দেবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির (প্রয়াত) ভাতিজা কেনেডি জুনিয়র ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন। এক সপ্তাহের এ সফরে তাঁর সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী ড. ক্যাথরিন কিকি কেনেডি, মেয়ে কেলি কেনেডি, ছেলে টেডি কেনেডি, ভাতিজি গ্রেস কেনেডি অ্যালেন ও ভাতিজা ম্যাপ অ্যালেন।