বলিউড অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরি। বড় পর্দায় এখন খুব একটা নিয়মিত নন এই অভিনেত্রী। মাঝে বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন। বিরতি ভেঙে ভারতে ফিরেছেন। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখে বিপদে পড়েছিলেন নার্গিস। সময় ও পরিস্থিতির কারণে তার অনেক কিছু বদলে ফেলতে হয়েছে। এখনো প্রতিনিয়ত নিজেকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন মায়ানগরী মুম্বাইয়ে। অতীতের কঠিন সময় নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা।
ব্যক্তিজীবনে নার্গিস খুব সহজ-সরল। তা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি জানতাম না, কীভাবে নতুন নতুন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। এতটাই সৎ আর সরল ছিলাম যে, কূটচাল বুঝতাম না। কিন্তু মুখ লুকিয়ে থাকলেও যে চলে না! বহু মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে; নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে সবরকম পরিবেশে কথা বলতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন ছিল লোকদেখানো সৌজন্যবোধ, সেই কাজটাও তেমনভাবে পারতাম না। আমাকে সবাই বেমানান হিসেবেই চিনেছিলেন; রোজ পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করতো।’
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মানুষের তিনরকম সত্তা। তারা কখনো ব্যবসায়ী, কখনো শিল্পী আবার কখনো ঘরোয়া মানুষ। এর মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রত্যেক দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে এই সারমর্ম বুঝেছেন নার্গিস।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নার্গিস ফাখরি টানা আট বছর পড়েছিলেন মুম্বাইয়ে। একবারের জন্যও পরিবারের কাছে ফেরার সময় পাননি। শরীর-স্বাস্থ্য কীভাবে ঠিক রেখেছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ৪২ বছর বয়েসী এই অভিনেত্রী বলেন—‘নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিয়েছিল। হয়তো অবসাদও এসেছিল। নিজেকে প্রশ্ন করেছি বহুবার, এখনো কেন পড়ে আছি? নিজেকে সুস্থ করতে দু’বছরের বিরতি নিয়েছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে যোগাভ্যাস করেছি, ধ্যান করেছি। তারপর ভারতে ফিরেছি।’
নার্গিস ফাখরি অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘তোরবাজ’। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে ‘হারি হারা বীরা মাল্লু’ সিনেমার কাজ। এতে তার সহশিল্পী পবন কল্যাণ। গত ২৯ এপ্রিল সিনেমাটি মুক্তির কথা থাকলেও করোনা সংকটের কারণে তা পিছিয়ে যায়। আগামী বছরের ৩০ মার্চ এটি মুক্তির নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।