কুমিল্লা, ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ 

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা সারা দেশের ম্যাপ দেখে ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে বিভাগ করার সুপারিশ করেছি। সরকার যদি মনে করে, ১০টি বিভাগ করে দেবে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ কমিশনের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুর ও কুমিল্লাবাসী দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা বিভাগের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আলাদা বিভাগ হলে বিভিন্ন সেবা পেতে এই অঞ্চলের মানুষদের ঢাকামুখী হতে হবে না, ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা যাবে- এই বিবেচনায় আলাদা বিভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ভিন্ন নামে কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ করার কথা জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালের ২১ অক্টোবরে এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা জানান, ফরিদপুর বিভাগের নাম হবে পদ্মা আর কুমিল্লা বিভাগের নাম হবে মেঘনা।

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, বিভাগের বিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুটি নদীর নামে দুটি বিভাগ বানাব। একটা পদ্মা অন্যটা মেঘনা। সে বছরেরই ডিসেম্বরে একনেক সভায় বিভাগ দুটির নাম চূড়ান্ত করার কথা জানানো হয়।

এর আগে ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগকে ভেঙে কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে পৃথক বিভাগ করা যায় কি না এ নিয়ে শেখ হাসিনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশনা দেন। পরে বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা নিয়ে পদ্মা এবং বৃহত্তর কুমিল্লার তিনটি ও নোয়াখালীর তিনটি করে মোট ছয়টি জেলা নিয়ে ‘মেঘনা’ বিভাগ করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হলেও করোনা মহামারীর সময় অর্থ সংকটের কথা বলে বিষয়টি চাপা পড়ে।

এদিকে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত ৩১ আগস্ট কুমিল্লার লালমাই, নাঙ্গলকোট ও সদর দক্ষিণ উপজেলা এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, কোনো নদীর নামে নয়, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কুমিল্লা নামেই বিভাগ হবে।

Comments (0)
Add Comment