নানারকম অদ্ভুত খবর দিয়ে আলোচনায় থাকেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি কিম জং উন। এবার শীর্ষ নেতার মহত্ত্ব নিয়ে কোরিয়ান লেখকদের ৭০টি নতুন সাহিত্য রচনার আদেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি উত্তর কোরিয়ার প্রচারণা দফতরের উপ-পরিচালক এবং শীর্ষ নেতার বোন কিম ইয়ো জং এই আদেশ দিয়েছেন বলে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি এনকে’র খবরে বলা হয়েছে।
এসব সাহিত্যের মধ্যে কিম জং উনের মহত্ত্ব নিয়ে ছোট গল্প, উপন্যাসিকা এবং উপন্যাস থাকবে বলে জানা গেছে।
খবরে বলা হয়, কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টি প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে এসব সাহিত্য রচনা করার জন্য কোরিয়ান লেখক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের আদেশ দেয়া হয়েছে।
রচনার ক্ষেত্রে কিম জং উনের মাউন্ট পাইকটু আরোহণের ওপর বিশেষ দৃষ্টি নিবদ্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছেন শীর্ষ নেতার বোন।
কিম জো জং ওই আদেশে বলেন, তাদের (লেখকদের) অবশ্যই এমন দুর্দান্ত সাহিত্য রচনা করতে হবে যা পুরো দল, সেনাবাহিনী এবং সমগ্র জাতিকে কিম জং উনের প্রতিভা ও তার পর্বত আরোহণের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করতে পারে।
গত বছরের ডিসেম্বরে একটি সাদা ঘোড়ায় চড়ে মাউন্ট পায়েকতু আরোহণ করেন কিম জং উন। এই পাহাড় উত্তর কোরিয়ার অনেক বিপ্লবের সাক্ষী হয়ে আছে।
বিপ্লবী স্থানগুলো পরিদর্শনকালে কিম জং উন একে বিশেষ শিক্ষণীয় স্থান হিসেবে উল্লেখ করে ‘মাউন্ট পায়েকতু বিশ্ববিদ্যালয়’ নামকরণ করেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার জনগণকে এই পাহাড়ে এসে শিক্ষা গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
পায়েকতু ২,৭৪৪ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট একটি আগ্নেয় পর্বত। চীন সীমান্তে এর অবস্থান। কোরীয় লোকগাথায় একে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কিম পরিবারের বীরত্ব প্রচারেও এটি মূল ভূমিকা পালন করে আসছে। যেমন রাষ্ট্রীয়ভাবে কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের যে জীবনী রয়েছে তাতে বলা আছে, পায়েকতু পর্বতের চূড়ায় তার জন্ম।
অনেক ইতিহাসবিদের মতে তার জন্ম রাশিয়ায়। রোদং সিনমুনে জানায়, কিম জং উন প্রায়ই এ পর্বতের চূড়ায় ওঠেন। কিন্তু শীতকালের মাঝামাঝি সময়ে তার এ পর্বতারোহন বিরল।