নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তৃতীয় শিরোপা জিতেছে ভারত। ২৫১ রানের লক্ষ্য, নাগালেই ছিল। ফলে ম্যাচের শুরুতেই যেন শেষ লিখে দেওয়ার বার্তা দিলেন রোহিত শর্মা। তার বিদায়ে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু দুবাইয়ের ধীর উইকেটে তার ইনিংসই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। মধ্যে শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুলরা কার্যকরী ইনিংস খেলে
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রবিবার (৯ মার্চ) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে টস জিতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। ভালোই শুরু করেছিল তারা। ওপেনিং জুটিতে যোগ করেছিল ৫৭ রান। কিন্তু ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। সেখান থেকে ৭ উইকেটে ২৫১ রানের বেশি করতে পারেনি ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে পরাজিত হওয়া নিউজিল্যান্ড।
দলটির হয়ে ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ২৯ বলে ৩৭ রান করেন। চারটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। চারে নামা ড্যারেল মিশেল সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। ১০১ বলের ইনিংস তিনি তিনটি চারের শটে সাজান। গ্লেন ফিলিপস ও মাইকেল ব্রেসওয়েল লোয়ারে কার্যকরী দুই ইনিংস খেলে দলকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন। ফিলিপস খেলেন ৫২ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। ব্রেসওয়েল ৪০ বলে ৫৩ রান করেন। তিনটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন তিনি।
জবাব দিতে নেমে ভারত দুর্দান্ত শুরু করে। এক প্রান্ত দিয়ে রোহিত শর্মা চার-ছয় হাঁকাতে থাকেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে শুভমন গিল ওপেনিংয়ে ভারতকে ১০৫ রানের জুটি দিয়ে ফিরে যান। গিল ৫০ বলে ৩১ রান করেন। পরেই ফিরে যান বিরাট কোহলি (১)। এরপর রোহিত শর্মা ৮৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন। সাতটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। ভারত ১২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে।
পরে আরও ৩ উইকেট হারালেও বাকি পথটা নিমিষে পাড়ি দিয়েছে ভারত। চারে নেমে শ্রেয়াস আইয়ার ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। অক্ষর প্যাটেল ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। রাহুল ৩৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে এক ওভার থাকতে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন। হার্ডিক পান্ডিয়া যোগ করেন ১৮ রান।
ভারতের হয়ে ফাইনালে বল হাতে দুই লেগি বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব দারুণ বোলিং করেছেন। দু’জনই দুটি করে উইকেট নেন। রান চেক দিতেও ছিলেন অনন্য। এছাড়া জাদেজা মাত্র ৩০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ওই তুলনায় মোহাম্মদ শামি ছিলেন বেশ খরুচে। তিনি ৯ ওভারে ৭৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের হয়ে মিশেল স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েল দুটি করে উইকেট নেন। ম্যাট হেনরি ইনজুরির কারণে খেলতে না পারা বড় ধাক্কা হয়েছে কিউইদের জন্য। ভারত এর আগে ২০০২ সালে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৩ সালে জেতে দ্বিতীয় শিরোপা।
ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়েছেন রোহিত। পুরো টুর্নামেন্টে ২৬৩ রান করার পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় নিউজিল্যান্ডের রাচিন।