কাশ্মীর বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চীনের সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতির কারণে বেইজিংকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
মঙ্গলবার চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেংহের সঙ্গে রাজধানী ইসলামাবাদ বৈঠকে করেন ইমরান খান। গত আগস্টে স্বায়ত্বশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত। এমন পরিস্থিতিতে চীন জম্মু-কাশ্মীরকে সমর্থন করায় বেইজিংয়ের প্রশংসা করেছেন ইমরান খান।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত। কিন্তু দুই দেশই এটিকে সম্পূর্ণরুপে দাবি করছে। সম্প্রতি লাদাখের চীন সীমান্তে বেইজিং ও দিল্লির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যেই কাশ্মীর নিয়ে নয়া দিল্লির একতরফা পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে চীন।
গত মাসে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও বলেন, জাতিসংঘের চার্টার (নিরাপত্তা কাউন্সিল ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি) অনুযায়ী কাশ্মীর বিরোধ সঠিকভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হওয়া উচিত।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, জেনারেল ওয়েই ফেংহে প্রতিনিধি দল নিয়ে তিন দিনের সফরে পাকিস্তানে আসেন।
ইমরান খান বলেন, ভারতীয় পদক্ষেপগুলো ভারতীয় সংখ্যালঘু, নিরীহ কাশ্মিরীদের স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।
এদিকে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে চীনের পক্ষে ওয়েই ফেংহে এবং পাকিস্তানের পক্ষে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ও সেনাবাহিনী চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল নাদিম রেজা সই করেন।