ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের লাড়াইয়ে সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তান। কাশ্মীরে শহীদ দিবস উপলক্ষে সেখানকার অধিবাসীদের প্রতি এ সমর্থন ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলা হয়, কাশ্মিরী জনগণ ভারতের বলদর্পী নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে তার প্রতি পাকিস্তান তাদের জোর সমর্থন চালিয়ে যাবে।
কাশ্মীরের ৭৯তম শহীদ দিবস উপলক্ষে পাকিস্তান এ বিবৃতি দিয়েছে। ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই ডোগরা শিখ শাসকের বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২২ জন মুসলমান শহীদ হন। এ কারণে কাশ্মীরে প্রতি বছর ১৩ জুলাই শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।
বিবৃতিতে পাকিস্তান জানিয়েছে, কাশ্মীরিদের ওপর ভারতীয় বাহিনীর হামলা এবং হত্যা-নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে যা নিন্দনীয়। ইসলামাবাদ সেখানকার জনগণকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বিশ্বসমাজের উদ্দেশে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের মজলুম মানুষদের জীবন রক্ষায় সবাই এগিয়ে আসুন। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে আরও কঠোর করেছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে। গত তিন দশকে সেখানে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
কাশ্মীরের জনগণ সেখানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ইশতেহার বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে। নিরাপত্তা পরিষদের ইশতেহারে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর অঞ্চলের ভবিষ্যত নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার জাতিসংঘের ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে অসম্মতি জানিয়ে আসছে। এ কারণে ভারত সরকার এখন পর্যন্ত সেখানে গণভোট আয়োজন করেনি। পার্সটুডে।