কৃষি ও অন্যান্য পণ্য পরিবহনে মালগাড়ির (গুডস ট্রেন) পাশাপাশি দুটি বিশেষ লাগেজ ভ্যান ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল শুক্রবার থেকে দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় প্রতিদিন একটি করে ট্রেন কৃষিপণ্য পরিবহনে চলাচল করবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ল্যাগেজবাহী ট্রেন চালানোর জন্য গতকাল বুধবার রেলের ঢাকা বিভাগে ৭টি করে এসএলআর (সিটিং কাম লাগেজ রেক) বিভিন্ন ট্রেন থেকে কর্তন করে আলাদা রেক (বিভিন্ন কোচের সমন্বয়ে তৈরি কম্পোজিশন) তৈরি করা হয়েছে। ট্রেনটিতে ভিকে অথাৎ মোটরবাহী কোচও থাকবে। ট্রেনগুলো যাত্রা স্টেশনে পাঠানোর সব সম্পন্ন। আজ দুপুরের পর শিডিউল তৈরি ও সিদ্ধান্ত এলে বিকালের মধ্যেই ট্রেনগুলো চট্টগ্রাম ও দেওয়ানগঞ্জ বাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সব বন্ধ থাকলেও রেলের পণ্য পরিবহন সেবা চালু রয়েছে। কনটেইনার ট্রেন, গুডস ট্রেন ও জ্বালানিবাহী ট্রেন চলাচলে সীমিত থাকলেও রেলওয়ে এখন ল্যাগেজ ভ্যানের বিশেষ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করছে। ঢাকাগামী দুটি ট্রেন চালানোর সব প্রস্তুতি নেয়া হয়ে গেছে। এখন শিডিউল তৈরি করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে কাল-পরশু থেকে ট্রেন দুটি চালু হবে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি জামালপুর, ময়মনসিংহসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে কৃষিজ, জরুরি ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে তেজগাঁও স্টেশনে এসে থামবে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি চিনকিআস্তানা, ফেনী, নাঙলকোট, লাকসাম, কুমিল্লা, বাহ্মণবাড়িয়াা, আখাউড়া, ভৈরব, নরসিংদী-সহ বেশ কয়েকটি কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী এলাকার স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে।
রেলের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ট্রেন দুটির রেক তৈরি হয়ে গেছে। আজকের মধ্যে প্রারম্ভিক স্টেশনে পৌঁছে যাবে। আজকে রেলভবনে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে ট্রেনের শিডিউল চূড়ান্ত করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল ট্রেন দুটি চলাচল শুরু হতে পারে। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুপাতে ট্রেনের সংখ্যা ও কোচ সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। চাহিদাকে সামনে রেখে সপ্তাহে তিনদিন এই ট্রেন চলাচল করবে। ধারাবাহিকভাবে দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকেও এই ধরনের ট্রেন চালুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।