বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকবাজার থানার উপপরিদর্শক শাহজাহান সিরাজ কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, এই মামলায় সব কয়টি ধারা জামিনযোগ্য। সেক্ষেত্রে তিনি (শ্রীশান্ত) জামিন পেতে পারেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, জামিনযোগ্য ধারা হলেও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেক ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া যায় না। জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হোক।
এ সময় বিচারক বলেন, এই মামলার এজাহারের সঙ্গে ধারার অমিল আছে। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার জামিন শুনানি হবে। এরপর আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার চকবাজার থানায় শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন বুয়েটের নিরাপত্তাকর্মী আফগান হোসেন। এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগের একটি মাধ্যমে ছদ্মনাম ব্যবহার করে এক ব্যক্তি মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন লেখালেখি করেন। তিনি অশ্লীল ও ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট করেন। যে আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে সেটি চালান শ্রীশান্ত রায়। আসামির পোস্ট বুয়েটের শিক্ষার্থী ও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।