তালেবান কাবুল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ব্যাপক জনসমাগাম নিয়ন্ত্রণ করতেই তালেবান এই অতিরিক্ত সদস্যদের নিযুক্ত করেছে।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান রাজধানী কাবুল দখল করে। এরপর দেশটির হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে জড়ো হয়। তালেবানের ভয়ে তারা পশ্চিমা দেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে ভিড় করে। এতে বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
গত বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের একটি গেটে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা হয়। এতে ১৩ জন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনাসহ ১৭০ জনের অধিক মানুষ নিহত হয়। আইএস আফগানিস্তানের খোরাসান শাখা এই হামলার দায় স্বীকার করে।
কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখনও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগামী ৩১ আগস্টে সকল মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর বিমানবন্দরের ভাগ্যে কী ঘটবে তা নিয়ে চিন্তিত পশ্চিমা বিশ্ব।
যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল বিমানবন্দরটি তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে দিতে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে তালেবান রাজধানী কাবুলসহ সমগ্র আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় তুরস্কের সে পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
তালেবান তুরস্কের হাতে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ দিতে রাজি না হলেও তাদের কাছে কারিগরি সহায়তা চেয়েছে।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার কাবুল বিমানবন্দরের প্রবেশ পথে অনেকগুলো চেক পয়েন্ট দেখা গেছে। এসব চেকপয়েন্টে হামভি গাড়িতে তালেবান সদস্যদের দেখা গেছে।