যখন আমাদের প্রিয় জামালপুরে আজকের মতো এতো এতো ক্যামেরা ফোন, ডিএসএলআর ক্যামেরা বা ফ্লিম ক্যামেরা ছিলনা তখন হাতেগোনা যে কজন ফটোগ্রাফার ছিলেন জামালপুর শহর বা জেলাতে তাদের মধ্যে সবার প্রিয় এবং সহজ সরল একজন মানুষ ছিলেন আমাদের কানুদা। তার প্রতিষ্ঠান- ষ্টেশন রোড, পৌরসভা গেট সংলগ্ন তাপসী কালার স্টুডিও।
কানুদাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি ১৫/১৬ বছর। তার প্রতিষ্ঠানের পেছনেই ছিল আমাদের বাসা। ধনী, গরীব, কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী এক কথায় শিশু থেকে বৃদ্ধ যেই ছবি তুলতে যেতো; যতক্ষণ পর্যন্ত তার মনমতো না হতো ততক্ষণ তিনি ছবি তুলতেন না। বিভিন্নভাবে নির্দেশনা দিতে থাকতেন।
কানুদা ব্যবসা করতেন ঠিক, তবে টাকা তার কাছে মুখ্য বিষয় ছিল না। অনেক দিন দেখেছি ছবি তোলার জন্য বাহিরে চলে গেছেন কোনমতে শাটার নামিয়ে, তালাও লাগান নি।
সে সময় জামালপুরের এমপি, মন্ত্রী, ডিসি, এসপি বা সরকারি কর্মকর্তাগণ গাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে কানুদাকে নিয়ে যেতেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জন্য। বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক,পারিবারিক অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জন্য শেষ ভরসা ছিলেন কানুদা৷ খুব ভালো মানুষ ছিলেন তিনি।
কানুদা (অজিত সোম কানু) আর আমাদের মাঝে নেই! আমরা জামালপুরবাসী শোকাহত।
শফিকুল হাসান তুষারের ফেসবুক থেকে…