কর্মজীবিদের দিনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত হয় তাদের কর্মক্ষেত্রে। কখনো কাজের অতিরিক্ত চাপ, ডেডলাইন অনুযায়ী কাজ না হওয়া, সহকর্মীদের সঙ্গে মতের অমিল আমাদের দেনন্দিন জীবনের স্ট্রেসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদী খারাপ প্রভাব পড়ে। তবে কয়েকটি ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনার মনকে শান্ত করতে পারেন।
উপায়গুলো জেনে নিন…
অগ্রাধিকরের ভিত্তিতে প্রতিদিনের টু-ডু লিস্ট তৈরি করুন
কর্মক্ষেত্রের যাবতীয় কাজকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করুন। ডেডলাইনের দিকে খেয়াল রেখে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করুন। কাজ সহজ করার জন্য আপনার ফোনে ব্যবহার করতে পারেন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ বা টু-ডু লিস্ট টুল।
অফিসের কাজ অফিসেই শেষ করুন
ব্যক্তিগত জীবন ও অফিসের কাজের মধ্যে একটি রেখা টানতে শিখুন।
অফিসের কাজ অফিস সময়ের মধ্যে শেষ করলে বাসায় কাজের চাপ থাকবে না। বেশি প্রয়োজনীয় কল বা ম্যাসেজ বাদে বাসায় অফিসের কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
মাল্টিটাসকিং পরিহার
প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ রাখুন। অন্যথায়ে একসাথে অনেকগুলো কাজ আপনার কাজের প্রোডাক্টটিভি কমিয়ে আপনার স্ট্রেস বাড়িয়ে তুলবে।
কাজের মাঝে বিরতি
অফিসে অনেকক্ষণ কাজ করার ফলে কাজে সহজেই একঘেমি চলে আসে। এজন্য কাজের ফাকে ছোট ছোট বিরতি নিন যা আপনার মাইন্ড রিফ্রেশ করবে এবং স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটিতে চেষ্টা করুন পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ঘুরতে যান।
মেডিটেশন
মেডিটেশন স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। মনকে শান্ত করে।
বিভিন্ন ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম করুন। এতে সহজেই আপনি কর্মক্ষের যেকেনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবেন।
সহকর্মীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন
কর্মক্ষেত্রে সকলের কাজের ধরন আলাদা হয়। দলগত কাজে মতের অমিল হওয়া স্বাভাবিক। এতে যেকোনো ধরনের কাজে সাহায্য নিতে বা মত প্রকাশে দ্বিদ্ধা না করে খোলামেলা আলোচনা করুন। এতে মনোমালিন্য হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায় এবং লক্ষ্য অর্জনে বাড়তি চাপ নিতে হয় না। সিদ্ধান্ত নিতে ও সুবিধা হয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া