ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব স্টেডিয়াম বিশেষ করে ইনডোর স্টেডিয়ামসমূহ প্রয়োজনে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
তিনি বলেন, দেশের সব স্টেডিয়াম বিশেষ করে ইনডোর স্টেডিয়ামসমূহ স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদামাফিক করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করতে পারবে।আমরা ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগরীরসহ দেশের প্রধান প্রধান স্টেডিয়ামসমূহে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছি।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার করোনা মোকাবেলায় ইতিমধ্যে সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানী ও সরকারের গৃহীত সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারী রূপ ধারণ করে নাই। তবে আমাদের আত্মতুষ্টিতে বসে থাকলে চলবে না। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি জানান, ঢাকা মহানগরীরতে অবস্থিত স্টেডিয়াম ও সকল জেলা স্টেডিয়ামসহ মোট ৮০টি এবং ১২৫টি উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম রয়েছে।
দেশবাসীকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য দ্রব্য মজুদ আছে। আতংকিত হবার কিছু নেই। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। ঘরে অবস্থান করুন।’
প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিদেশ ফেরতরা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মেনে চলুন। ইনশাআল্লাহ বৈশ্বিক এই সমস্যা আমরা সমাধান করতে সক্ষম হবো। আল্লাহর কাছে দেশবাসীর জন্য দোয়া করুন।’
করোনা মোকাবেলায় সকল পরিস্থিতিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে প্রতিমন্ত্রী তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কারণে বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সকল প্রকার খেলাধুলা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০০টি ইভেন্টের আয়োজন করা হলেও সেগুলো সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।